জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে নীতি তৈরি হোক: Bhagwat; সমালোচনা CPM নেত্রী Brinda-র
ভাগবতের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ দাবির পিছনে অভিসন্ধি রয়েছে বলে দাবি সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাটের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দীর্ঘদিন ধরেই সঙ্ঘের অন্দরে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন প্রণয়নের দাবি উঠছে। ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কথা শোনা গিয়েছিল মোদীর মুখে। শুক্রবার নাগপুরে বিজয়া দশমীর ভাষণে এনিয়ে আরএসএস-র অবস্থান আরও স্পষ্ট করে দিলেন মোহন ভাগবত। সরসঙ্ঘ চালক বলেন,''জনসংখ্যা নীতি নিয়ে বিবেচনা করা দরকার। আগামী ৫০ বছরের জন্য নীতিমালা তৈরি করা উচিত। এবং তা দৃঢ়ভাবে রূপায়ন করতে হবে। কারণ ভারসাম্যহীন জনসংখ্যা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।'' ভাগবতের 'জনসংখ্যার অসাম্য' মন্তব্যের সমলোচনা করেছেন সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য বৃন্দা কারাট।
কেমন নীতিমালা হওয়া প্রয়োজন তা-ও ব্যক্ত করে দিয়েছেন ভাগবত। তাঁর বক্তব্য,''বিশেষজ্ঞরাই বলছেন, একটি পরিবারের দুই সন্তান থাকা উচিত। সরকারও তা স্বীকার করে নিয়েছে। তবে আমার মনে হয় এব্যাপারে ভাবনাচিন্তার দরকার। দেশে যুবক ৫৬ থেকে ৫৭ শতাংশ মানুষ। ৩০ বছর তাঁরা বৃদ্ধ হয়ে যাবেন। তখন কত মানুষকে খাওয়ানো যাবে? কত মানুষকে কাজ দেওয়া যাবে? এই বিষয়গুলি নিয়ে ভাবতে হবে।''
এই নীতিমালা তৈরি হলে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ করা যাবে বলে মনে করেন সরসঙ্ঘ চালক। তাঁর যুক্তি, জোর করে ধর্মান্তকরণ রোধ করা যাবে। সম্ভব হবে প্রাকৃতিক প্রাকৃতিক সম্পদের সমবণ্টনও।
ভাগবতের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ দাবির পিছনে অভিসন্ধি রয়েছে বলে দাবি সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাটের। তাঁর কথায়,''কেন দেশের কাছে সত্য গোপন করতে চাইছেন ভাগবত? আরএসএস নিজেদের তত্ত্ব চাপিয়ে দিতে চাইছে। সব সম্প্রদায়ের মহিলাদের সন্তান ধারনের হার কমেছে। যা গোপন করতে চাইছেন ভাগবত। জনসংখ্যার বৃদ্ধি রোধে সর্বোত্তম পদক্ষেপ হল আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়ন।''
প্রসঙ্গত, অখিল ভারতীয় কার্যকারিনী মণ্ডলেও অসম জনবিন্যাস নিয়ে ইতিমধ্যেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সঙ্ঘের কার্যকর্তারা। সঙ্ঘের একাংশের বক্তব্য, ২০১১ সালের জনসুমারিতেই স্পষ্ট দেশে কীভাবে জনবিন্যাসের ভারসাম্য হ্রাস পেয়েছে। এক দশকে খ্রীষ্টান জনসংখ্যা প্রায় ৩০ শতাংশের বেশি বেড়েছে দেশের ১১টি রাজ্যে। দেশের ৯টি রাজ্যে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে ৩০ শতাংশের বেশি।
আরও পড়ুন- কাশ্মীরী পণ্ডিত সহ ২০০ জনকে হত্যার 'টার্গেট', জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে গোপন বৈঠক পাক ISI-এর