তিস্তার জলবণ্টন নিয়ে দীপু মণিকে আশ্বাস কৃষ্ণর
রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে তিস্তা জলবণ্টন চুক্তির বাস্তবায়ন চায় ভারত। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী দীপু মণির সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা সম্পর্কিত বৈঠকের পর একথা জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণ।
রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে তিস্তা জলবণ্টন চুক্তির বাস্তবায়ন চায় ভারত। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী দীপু মণির সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা সম্পর্কিত বৈঠকের পর একথা জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণ। তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। আলোচনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীও। বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা না করে হিমালয়ের নদীগুলির জলবণ্টন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না বলেও দীপু মণিকে আশ্বাস দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণ।
গঙ্গার জলবণ্টন নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ চুক্তি হয়েছিল ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে। ঠিক দেড় দশক পর ২০১১-র সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের ঢাকা সফরে তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে কূটনৈতিক স্তরে ঐকমত্য হলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনড় মনোভাবের কারণে তা ভেস্তে যায়। নয়াদিল্লির তরফে তিস্তা চুক্তি রূপায়ণের বিষয়ে পিছু হটার অনিবার্য প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশের সড়কপথের মাধ্যমে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পাঠানোর জন্য ট্রানজিট রুট দেওয়ার ক্ষেত্রেও প্রত্যাশিত পদক্ষেপ করতে পারেনি শেখ হাসিনার সরকার। অক্টোবর থেকে মে পর্যন্ত `সুখা মরসুম`-তিস্তার জলের ভাগাভাগির বিষয়টি দু`তরফের কাছেই অত্যন্ত স্পর্শকাতর। শুধু তিস্তা নয়, ফেনি, মনু, মুহারি, গুমতি, ধরলা-সহ দু`দেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত বেশ কিছু নদীর জলবণ্টন সংক্রান্ত বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানের জন্য মনমোহন সরকারের তরফে সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়েও এদিন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীকে আশ্বাস দেন কৃষ্ণ।