বেতন ১টাকা, সম্পত্তি ৬৬ কোটি টাকা!
১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬। পাঁচ বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন জয়ললিতা বেতন নিতেন এক টাকা করে। অথচ ওই পাঁচ বছরে তার সম্পত্তি বেড়েছিল ২০ গুণ। তিন কোটি টাকা থেকে সম্পত্তি বেড়ে দাঁড়ায় ৬৬ কোটি টাকায়। এই নিয়েই চেন্নাই আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন সুব্রহ্মণ্য স্বামী। মাদ্রাজ ও কর্নাটক হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট হয়ে মামলা শেষ পর্যন্ত পৌছয় বেঙ্গালুরু বিশেষ আদালতে। ১৮ বছর মামলা চলার পর রায় ঘোষণা হল আজ। আঠারো বছরের টানাপোড়েন শেষ। হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রিত্ব খোয়াতে হল জয়ললিতাকে। একইসঙ্গে দোষী সাব্যস্ত হলেন একদা আম্মার সহযোগী শশীকলা ও পালিত পুত্র সুধাকরণ। ঘটনার সূত্রপাত ১৯৯৬ সালে।
চেন্নাই: ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬। পাঁচ বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন জয়ললিতা বেতন নিতেন এক টাকা করে। অথচ ওই পাঁচ বছরে তার সম্পত্তি বেড়েছিল ২০ গুণ। তিন কোটি টাকা থেকে সম্পত্তি বেড়ে দাঁড়ায় ৬৬ কোটি টাকায়। এই নিয়েই চেন্নাই আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন সুব্রহ্মণ্য স্বামী। মাদ্রাজ ও কর্নাটক হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট হয়ে মামলা শেষ পর্যন্ত পৌছয় বেঙ্গালুরু বিশেষ আদালতে। ১৮ বছর মামলা চলার পর রায় ঘোষণা হল আজ। আঠারো বছরের টানাপোড়েন শেষ। হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রিত্ব খোয়াতে হল জয়ললিতাকে। একইসঙ্গে দোষী সাব্যস্ত হলেন একদা আম্মার সহযোগী শশীকলা ও পালিত পুত্র সুধাকরণ। ঘটনার সূত্রপাত ১৯৯৬ সালে।
চেন্নাইয়ের আদালতে জয়ললিতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন জনতা দল নেতা সুব্রমণ্যম স্বামী
সুব্রহ্মনম স্বামীর অভিযোগ, ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬, এই পাঁচ বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় জয়ললিতার সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছিল প্রায় কুড়ি গুন। জয়ললিতার দাবি, ওই সময় তিনি বেতন নিতেন এক টাকা করে।
১৯৯১-এ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সময় জয়ললিতার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল প্রায় ৩কোটি টাকা
১৯৯৬-এ তাঁর সম্পত্তি বেড়ে দাঁড়ায় ৬৬ কোটি টাকায়
সম্পত্তির মধ্যে ছিল ২০০০ একর জমি, ৩০ কেজি সোনা ও প্রায় ১২ হাজার শাড়ি
১৯৯৬-এ পালিত পুত্র সুধাকরণের বিয়েতে প্রায় ৫কোটি টাকা খরচ করেছিলেন জয়ললিতা
দায়ের হওয়ায় মামলার প্রেক্ষিতে ডিরেক্টরেট অব ভিজিলেন্স ও দুর্নীতি দমন শাখাকে তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে জয়ললিতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়।
১৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৬
জয়ললিতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ
এফআইআরের পরই হায়দরাবাদের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাসি শুরু হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় জয়লিলতার ঘনিষ্ঠ বেশকয়েকজন সহযোগীকে। পেশ করা হয় চার্জশিট। তারপর কাবেরি নদী দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল। আঠারো বছরে আদালতে জমা পড়েছে বহু পিটিশন। ট্রায়াল কোর্ট থেকে মামলা মাদ্রাজ ও কর্নাটক হাইকোর্ট হয়ে পৌছেছে সুপ্রিম কোর্টে। ২০০১ এ এডিএমকে দ্বিতীয়বার তামিলনাড়ুর মসনদ দখলের পর মাদ্রাজ হাইকোর্ট থেকে মামলাটি সরিয়ে নেওয়ার আবেদন করে ডিএমকে। ডিএমকের আর্জি সমর্থন করেন সুব্রমণ্যম স্বামীও।
২০০৩-এ মামলাটি বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালতে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট
২০১১-য় বেঙ্গালুরুর আদালতে সাক্ষ্য দেন জয়ললিতা
সেই মামলায় শেষপর্যন্ত এদিন রায় দিল আদালত। আয় বর্হিভূত মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন জয়ললিতা।