Mamata In Meghalaya: গুয়াহাটি থেকে গোটা উত্তরপূর্ব ভারতকে একজন চালাবেন! মেঘালয়ে কাকে নিশানা মমতার?
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা বলেন, বিজেপির একটা দুমুখো নীতি রয়েছে। ভোটের সময়ে এক জিনিস। ভোট ফুরোলে অন্য রূপ। এখান যা হবে মেঘালয়ের জন্যই হবে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মেঘালয়েও সম্ভব। বাংলায় অনেক লড়াই করে ক্ষমতায় এসেছি। কেউ ভোট এলেই সব ফ্রি দেওয়ার কথা বলবে, আর ভোট শেষ হলেই উধাও হয়ে যাবে, এরকম বেশিদিন চলবে না। মেঘালয়ের উত্তর গারের এক সভায় কেন্দ্রের বিজেপি ও এনডিপির বিরুদ্ধে এভাবেই সরব হলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি নাম না করে অসমের মুখ্যমন্ত্রীকেও নিশানা করলেন মমতা।
আরও পড়ুন-সংসারে চরম অনটন, তবু কুটীরশিল্পকে বাঁচাতে বেনজির লড়াই বাংলার এই দম্পতির
মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণার আগেই সেখানে আজ ভোটের বাজনা বাজিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাফ ঘোষণা মেঘালয়ে সাধারণ মানুষের জন্য একটা ভালো সরকার দিতে পারে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের ৬০ আসনের মধ্যে ৫২ আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বলেন, আপনারা জানলে অবাক হবেন কীভাবে আমার উপরে অত্যাচার করা হয়েছে। আমার মাথায় অপারেশন হয়েছে, দুটো চোখে, হাতে, শিরদাঁড়ায় অপারেশন হয়েছে। কিন্তু কখনও মাথা নোয়াইনি। কারণ রাজনীতি আমার পেশা নয়, আমার প্যাশন। আমি মনে করি রাজনীতির মাধ্যমে মানুষের উপকার করা সম্ভব হবে। এখন আমাদের ওখানে যদি কোনও আগুন লাগে, আমরা সরকার থেকে সাহায্য় করি, কোনও দুর্ঘটনা হলে সাহায্য করি, কেউ মারা গেলে সাহায্য করি। কৃষকদের, যুবকদের, ছাত্রদের সাহায্য করি। রাজ্যের ১০ কোটি মানুষের মধ্যে ৯.৫ কোটি মানুষকে বিনা পয়সায় রেশন দেওয়া হয়। এমনকি তাদের ঘরে পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয়। আমরা ফ্রিতে চিকিত্সা দিই। আপনারা কলকাতায় গিয়ে দেখুন, ফ্রিতে ট্রিটমেন্ট হয়। আমরা ৬০ হাজার শিশুকে বিনা পয়সায় হার্ট অপারেশন করিয়েছি।
বাংলায় ছাত্রদের কথা বলতে গিয়ে মমতা বলেন, স্মার্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে আমরা পড়ুয়াদের ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের ব্যবস্থা করেছি। পরিবারকে তাদের জন্য ভাবতে হয় না। তারা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হতে পারে। কিন্তু কী করেছে এই সরকার? রিপোর্ট কার্ড কোথায়? আমি চ্যালেঞ্জ করছি, আপনারা প্রথমে আপনাদের রিপোর্ট কার্ড দেখান। তার পর অন্য কথা বলবেন। ভোটের সময়ে পেট্রোল ফ্রি, আরও কত কী ফ্রি। ভোটের সময়ে তারা হিরো। টেলি প্রম্পটান এনে বক্তৃতা করে। আগে থেকেই বক্তব্য তৈরি করা থাকে।
মেঘালয়ে দলকে আনা প্রসঙ্গে মমতা বলেন, মুকুল সাংমা-সহ অন্যান্য বিধায়করা যখন আমার বাড়ি গিয়েছিল তখন খুব খুশি হয়েছিলাম। উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি সম্পর্কে আমি কিছু খবর রাখি। কিন্তু আমাকে বলুন গুয়াহাটি থেকে কেন একজন ডি ফ্যাক্টো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করবেন? তিনি গোটা উত্তরপূর্ব ভারতকে চালনা করবেন? সীমানা বিবাদ মেটানো হবে না কেন? এখানে বহু জায়গায় বিদ্যুত্ পর্যন্ত নেই। আমি বলতে চাই, তৃণমূল কংগ্রেস একমাত্র দল যারা এখানে একটা ভালো সরকার দিতে পারে। আমরা মহিলাদের লক্ষ্মীর ভা্ডার দিয়েছি, ছাত্রদের স্মার্ট ফোন, স্কুল ড্রেস ফ্রিতে দিয়েছি। প্রসঙ্গত, তৃণমূল নেত্রীর নিশানায় অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা বলেন, বিজেপির একটা দুমুখো নীতি রয়েছে। ভোটের সময়ে এক জিনিস। ভোট ফুরোলে অন্য রূপ। এখান যা হবে মেঘালয়ের জন্যই হবে। গোটা দেশে যেখানে বেকারি বেড়েছে সেখানে বাংলায় ৪০ শতাংশ কর্মসংস্থান বেড়েছে। এটা একমাত্র আমরাই পারি। তাই মেঘালয়ে তৃণমূলকে ক্ষমতায় আনুন।