Watch: ছেলের সঙ্গে পালিয়েছে মেয়ে! শ্রদ্ধার মহাপঞ্চায়েতে বাবাকে চটির 'চপেটাঘাত' মায়ের
চটি হাতে সজোরে মারেন ওই ব্যক্তিকে। যাঁর ছেলের সঙ্গে তাঁর মেয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। তিনি এও জানেন না যে, তাঁর মেয়ের আদৌ বিয়ে হয়েছে কি হয়নি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শ্রদ্ধা খুনে বিচার চেয়ে মহাপঞ্চায়েত। আর সেই মহাপঞ্চায়েতেই চটির 'চপেটাঘাত'! রীতিমতো পা থেকে চটি খুলে মারলেন এক মহিলা। মহাপঞ্চায়েতে বক্তব্য রাখার মাঝেই এক ব্যক্তিকে চটি খুলে মারলেন অভিযুক্ত মহিলা। কিন্তু কেন? অভিযোগ, ওই মহিলার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন ওই ব্যক্তির ছেলে। সেই রাগ-ই আর চেপে রাখতে পারেননি ওই মহিলা। সেই আক্রোশ থেকেই চটি আক্রমণ!
ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির ছতরপুরে। হিন্দু একতা মঞ্চ নামে এক সংগঠন ওই মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করেছিল। সেখানেই বক্তব্য রাখছিলেন ওই মহিলা। তিনি তাঁর জীবনে কী ঘটেছে, তাঁর বর্ণনা করছিলেন। একইসঙ্গে এও বলেন যে, তাঁর কথা কেউ শোনেনি। তখন মঞ্চে তাঁর পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন ওই ব্যক্তি। তিনি আবার ওই মহিলাকে তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা থেকে বিরত করার চেষ্টা করছিলেন। এমন সময় কথা বলতে বলতে আচমকাই থেমে যান ওই মহিলা।
মাইক ছেড়ে হাতে তুলে নেন চটি। চটি হাতে সজোরে মারেন ওই ব্যক্তিকে। যাঁর ছেলের সঙ্গে তাঁর মেয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। ওই মহিলার আরও অভিযোগ, মেয়ে চলে যাওয়ার পর থেকে বহুবার তিনি মেয়ের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাঁকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি তিনি এও জানেন না যে, তাঁর মেয়ের আদৌ বিয়ে হয়েছে কি হয়নি। এই ঘটনায় তিনি পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানিয়েছেন। পাশাপাশি, তাঁর ক্ষোভ শ্রদ্ধা খুনের বিচার চাইতে যেখানে এই মঞ্চ ও সভার আয়োজন, সেখানে ওই ব্যক্তি কেন এসেছেন? দেখুন সেই ভিডিয়ো-
#WATCH | Chattarpur, Delhi: Woman climbs up the stage of Hindu Ekta Manch's program 'Beti Bachao Mahapanchayat' to express her issues; hits a man with her slippers when he tries to push her away from the mic pic.twitter.com/dGrB5IsRHT
— ANI (@ANI) November 29, 2022
প্রসঙ্গত, লিভ-ইন পার্টনার আফতাব আমিনের হাতে শ্রদ্ধা ওয়াকারের খুনের ভয়াবহতা চমকে দিয়েছে দেশবাসীকে। প্রেমিকাকে খুনের পর দেহ ৩৫ টুকরো করা থেকে ফ্রিজারে দেহাংশ সংরক্ষণ, তদন্তে উঠে আসে একের পর এক ভয়ংকর হাড়হিম করা চাঞ্চল্যকর তথ্য। একদিকে ফ্রিজে যখন প্রেমিকার দেহাংশ থেকে কাটা মুণ্ডু মজুত, সেই অবস্থাতেও ফ্ল্যাটে নিত্য নতুন বান্ধবীদের নিয়ে এসে উদ্দাম যৌনতায় মেতেছে আফতাব। পাশাপাশি, শ্রদ্ধাকে খুনের পর প্রতিদিন রাত ২টো থেকে শুরু হত প্রেমিকার কাটা দেহাংশ জঙ্গলে ফেলার জন্য আফতাবের অভিযান। ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ওই ৩৫ টুকরো ফেলে আফতাব।
আরও পড়ুন, কবরস্থানেই চায়ের দোকান, কফিনবন্দি দেহের পাশে বসেই চলে 'চায়ে পে চর্চা'
ঘরের মেঝে থেকে রক্তের দাগ ধুয়ে মুছে ফেলতে ব্লিচিং পাউডার সহ আরও অন্যান্য রাসায়নিক ব্যবহার করে সে। এমনকি জেরায় আফতাব এও কবুল করেছে যে খুনের পর প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারের নাড়িভুঁড়ির কিমা বানায় সে! তারপর সেই 'কিমা' করা নাড়িভুঁড়ি কমোডে ফেলে ফ্লাশ করে দেয়! যদিও আদালতের কাছে আফতাবের দাবি, সবই নাকি সে করেছে 'ইন হিট অফ দ্য মোমেন্ট'। এমনকি তদন্তে সে পুলিসকে সহযোগিতাও করছে।