Abhimanyu Easwaran: অভাবনীয় বললেও কম, নিজের নামাঙ্কিত স্টেডিয়ামেই খেলছেন অভিমন্যু!
Abhimanyu Easwaran Set To Play In Stadium Named After Him: অভাবনীয় বললেও কম, নিজের নামাঙ্কিত স্টেডিয়ামেই খেলতে চলেছেন অভিমন্যু ঈশ্বরন! বাবার তৈরি স্বপ্নের স্টেডিয়ামেই তিনি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলতে চলেছেন। এখানেই বাংলা মুখোমুখি হচ্ছে উত্তরাখণ্ডের।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রঞ্জিতে (Ranji Trophy 2022-23) বাংলা খেলতে নামছে উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে (Bengal vs Uttarakhand)। আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার উত্তরাখণ্ডের হোম ম্যাচ। আর এই ম্য়াচে এক অভাবনীয় ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলার তারকা ক্রিকেটার অভিমন্যু ঈশ্বরন (Abhimanyu Easwaran)। অভিমন্যু শুধু নিজের ঘরের মাঠেই খেলতে নামছেন না। নিজের নামাঙ্কিত স্টেডিয়ামে খেলছেন তিনি। অভিমন্যুর বাবা রঙ্গনাথন পরমেশ্বরন ঈশ্বরন (Ranganathan Parameswaran Easwaran) ২০০৫ সালে নিজের টাকায় দেহরাদুনে তৈরি করেছিলেন অভিমন্যু ক্রিকেট অ্যাকাডেমি স্টেডিয়াম (Abhimanyu Cricket Academy Stadium)। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের জন্য তৈরি এই অসাধারণ স্টেডিয়ামটি রঙ্গনাথন নিজের ছেলের নামেই করেন। বিসিসিআই (BCCI) কিছু বছর আগে এই স্টেডিয়ামটি নিয়েছে। এখানে এখন প্রচুর ঘরোয়া ক্রিকেট হয়। জুনিয়র থেকে শুরু করে সিনিয়র পর্যায়ে।
সদ্য়সমাপ্ত ভারত-বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজে দলে ছিলেন অভিমন্যু। অনেকেই মনে করছেন যে, জাতীয় দলের হয়ে খেলা তাঁর সময়ের অপেক্ষা। ২৭ বছরের ক্রিকেটারের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৯টি সেঞ্চুরি রয়েছে। ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে অভিমন্যু বলছেন, 'সত্যি বলতে খুব গর্ব হচ্ছে আমার। অল্প বয়সে এখানেই আমার ক্রিকেট শেখা। এই মাঠ আমার বাবার ভালোবাসা ও কঠোর পরিশ্রমের ফল। অসাধারণ লাগে যখনই ঘরে ফিরি। তবে মাঠে নামলে ফোকাস থাকে বাংলার হয়ে ম্যাচ জেতা।' সাধারণত কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা অবসর নেওয়ার পর তাঁদের নামে স্টেডিয়াম হয়। ভিভ রিচার্ডস থেকে শুরু করে ব্রায়ান লারা বা অ্যালান বর্ডার। একাধিক উদাহরণ রয়েছে বাইশ গজে।
আরও পড়ুন: IND vs SL Live Streaming: এবার অতিথি শ্রীলঙ্কা! রইল সিরিজের সব হালহকিকত
এই মাঠের প্রাণপুরুষ রঙ্গনাথন বলছেন, 'আমার মনে হয় না যে, এরকম খুব একটা ঘটনা রয়েছে। কিন্তু আমার কাছে কৃতিত্বের নয়। ভালো লাগছে। এটাই বলতে পারি। প্রকৃত কৃতিত্ব সেটাই হবে, যদি আমার ছেলে দেশের হয়ে ১০০ টেস্ট খেলতে পারে। এই স্টেডিয়াম আমি তৈরি করেছি খেলার প্রতি আমার প্যাশন থেকে। শুধু মাত্র ছেলের জন্য় নয়। আমি সংবাদপত্র বিক্রি করেছি, আইসক্রিমও বিক্রি করেছি। এসব করেই সিএ ডিগ্রি অর্জন করেছি। আমি ক্রিকেটকে কিছু ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিলাম। আমার সৌভাগ্য যে, ভগবান আমাকে এমন একজন সন্তান দিয়েছে যে, ক্রিকেট খেলে। খেলার প্রতি বরাবর প্যাশন ছিল আমার।'
অভিমন্যু ১৯৯৫ সালে জন্মেছেন। তাঁর বাবা ১৯৮৮ সালে স্টেডিয়াম তৈরির কাজে হাত দিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন যে, আজও এই স্টেডিয়ামের উন্নতির জন্য তিনি টাকা ঢালছেন। যদিও তিনি এর বিনিময়ে কিছু ফেরত পাননি। এমনকী তাঁর প্রত্যাশাও ছিল না কোনও। ভালোবাসা থেকেই এসেছে এই স্টেডিয়াম। মহম্মদ শামি, শ্রেয়স আইয়ার ও দীনেশ কার্তিকের মতো তারকারা এই মাঠে অনুশীলন করেছেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের জন্য উপযুক্ত এই মাঠে রয়েছে ৬০টি ঘর, ২০টি হোস্টেল রুম। ফ্লাডলাইট শুধু মাঠেই নেই। নৈশালোকেও ইনডোর প্র্যাকটিস সারা যায় এখানে। রয়েছে দুর্দান্ত জিম, স্টাফ কোয়ার্টার ও লন্ড্রি। বেকারিও রয়েছে এখানে।