Ranji Trophy: Abishek Porel-কে নিয়ে উচ্ছ্বসিত হলেও সিনিয়রদের ব্যাটিংয়ে চিন্তিত Saurasish Lahiri
অন্য বাংলা। লড়াকু বাংলা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বরোদার বিরুদ্ধে বোলাররা ২০ উইকেট নিয়েছেন। শাহবাজ আহমেদ ও নবাগত অভিষেক পোড়েল কাজের কাজ করে বাংলাকে ম্যাচ জিতিয়েছেন। এ বার হায়দরাবাদের বিরুদ্ধেও সেই একই ঘটনার রিমেক ঘটেছে। ওপেনার ও মিডল অর্ডার ব্যর্থ হওয়ার পর ফের জ্বলে উঠেছেন অভিষেক ও শাহবাজ। তাই যুব বিশ্বকাপ জয়ী এই 'ইউটিলিটি ক্রিকেটার' নিয়ে দলের কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী যতটা উচ্ছ্বসিত, ঠিক ততটাই চিন্তিত তিনি দলের সিনিয়রদের ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে। সেটা জি ২৪ ঘণ্টার কাছে অকপটে স্বীকার করে নিলেন বাংলার প্রাক্তন অফ স্পিনার।
সৌরাশিস টেলিফোনে বলেন, "অভিষেক সত্যি অসাধারণ। ও স্পেশাল ট্যালেন্ট। গত ম্যাচে যেখানে শেষ করেছিল, হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ঠিক সেখান থেকেই শুরু করল অভিষেক। দুটি ম্যাচেই চাপের পরস্থিতিতে ও পালটা লড়াই করল। দুটি দুরন্ত ইনিংস দেখলাম। অভিষেক কতটা পরিণত সেটা গত দুই ইনিংসে দেখিয়ে দিল।"
তবে অভিষেক ও শাহবাজ লড়াইয়ের সৌজন্যে বাংলা লড়াই করার জায়গা এলেও, সিনিয়ররা কিন্তু দাগ কাটতে পারলেন না। মাত্র ২৪ রানে ফিরে যান দুই ওপেনার। গত ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৯ রান করলেও, এ দিন খালি হাতে ফিরে যান অভিমন্যু। সুদীপ ঘরামি ১৪ রানে আউট হন। সুদীপ চট্টোপাধায়ের জায়গায় সুযোগ পাওয়া ঋত্বিক রায়চৌধুরী দাগ কাটতে ব্যর্থ হলেন। সেট হয়েও ফিরে যান ৩৩ রানে। বাকি দুই অভিজ্ঞ সায়ন শেখর মন্ডল (৩৪) ও অনুষ্টুপ মজুমদার (২৯) শুরুটা ভাল করলেও লম্বা ইনিংস খেলতে পারেননি। সবচেয়ে অভিজ্ঞ মনোজ তিওয়ারি ফের ব্যর্থ হলেন । তিনি ১৩ বলে মাত্র ২ রানে আউট হন। তনয় ত্যাগরাজনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ক্রিজ ছাড়েন তিনি। সেই সময় ১১৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলা দলের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায়।
ব্যাটারদের দুরবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই সৌরাশিস যোগ করলেন, "সবাই রঞ্জিতে রান করেছে বলেই বাংলার হয়ে এখনও খেলে যাচ্ছে। এটা যেমন ঠিক, তেমনই সিনিয়রদের আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। সেট হয়ে আউট হয়ে গেলে দলের সমস্যা বাড়ে। সেটা নিয়ে কারও মনে সন্দেহের অবকাশ নেই। তাছাড়া এ বারের ফরম্যাটে ম্যাচ খেলার সুযোগ অনেক কম। তাই সবাইকে সেই দিক নিয়েও ভাবনাচিন্তা করা উচিত।"
বরোদার বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত জয় পেলেও প্রথম ইনিংসে ৮৮ রানে গুটিয়ে যায় বঙ্গব্রিগেড। যদিও সৌরাশিস মনে করেন দলের সবাই অভিজ্ঞ। তাই ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে আলাদাভাবে আলোচনা করার দরকার নেই। তিনি যোগ করেন, "সবাই নিজের কাজ জানে। বাংলার হয়ে খেলার জন্য সবাই নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তাই নতুনভাবে কিছু বুঝিয়ে দেওয়ার কারণ দেখি না।"
এ দিকে ৬২ বলে ৭৩ রান করা অভিষেক অবশ্য প্রথম শতরান হাতছাড়া করার জন্য কিছুটা হতাশ। তিনি বলেন,"গত ম্যাচের মতো এ বারও ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে ব্যাট করেছি। অনুশীলনের মতি ম্যাচে ব্যাট করার চেষ্টা করেছি। দলের জন্য আরও বড় ইনিংস দরকার ছিল। তাই রঞ্জি ট্রফিতে প্রথম শতরান হাতছাড়া করার জন্য খারাপ লাগছে।"
অভিষেক আক্ষেপ করলেও দিনের শেষে বিপক্ষের দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফিরে এসেছে বঙ্গব্রিগেড। ১৫ রানে বিপক্ষের ২ উইকেট তুলে নিয়ে ২২৭ রানে এগিয়ে রয়েছে অভিমন্যু ঈশ্বরণের দল। দ্বিতীয়দিন দল কীভাবে মেলে ধরে সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন: Ranji Trophy: ফের দুরন্ত অর্ধ শতরান করে বাংলার মান বাঁচালেন Abishek Porel
আরও পড়ুন: Wriddhimam Saha Exclusive: বিতর্কিত টুইট সিরিজ থেকে IPL-এ নতুন অঙ্গীকার, অকপট ঋদ্ধিমান