Ranji Trophy: ফের দুরন্ত অর্ধ শতরান করে বাংলার মান বাঁচালেন Abishek Porel
লম্বা রেসের ঘোড়া।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আক্ষরিক অর্থে ‘স্পেশাল ট্যালেন্ট’। আক্ষরিক অর্থে 'লম্বা রেসের ঘোড়া'। কেরিয়ারের দ্বিতীয় রঞ্জি ট্রফির ম্যাচেই সেটা বুঝিয়ে দিলেন অভিষেক পোড়েল। বরোদার বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো মেজাজে ৭০ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকার পর, বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে তাঁর ব্যাট থেকে এল ৬২ বলে ৭৩ রান। তাও আবার প্রবল চাপে বাইশ গজে জ্বলে উঠলেন যুব বিশ্বকাপ জয়ী এই 'ইউটিলিটি ক্রিকেটার'। তাঁর মারমুখী ইনিংসের দাপটে মান বাঁচিয়ে প্রথম ইনিংসে ২৪২ রান তুলে নিল বঙ্গব্রিগেড। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিলেন শাহবাজ আহমেদ। অবশ্য বাংলাকে চাপে রাখলেও, দাপট বজায় রাখতে ব্যর্থ হায়দরাবাদ। কারণ প্রথম দিনের শেষে মুকেশ কুমারের আগুনে পেসে ১৫ রানে ২ উইকেট হারাল বিপক্ষ। ফলে এই মুহূর্তে ২২৭ রানে এগিয়ে রয়েছে অভিমন্যু ঈশ্বরণের দল।
এদিন টসে জিতে বাংলাকে ব্যাটিং করতে পাঠিয়েছিলেন বিপক্ষের অধিনায়ক তন্ময় আগরওয়াল। কটকের বারাবাটি স্টেডিয়ামের নতুন পিচ ছিল ঘাসে ভরা। সঙ্গে সকালে মিলছিল সুইং। সেই সুযোগে বাংলার ব্যাটিংয়ে ফের ধস নামায় বিপক্ষের বোলিং লাইনআপ। মাত্র ২৪ রানে ফিরে যান দুই ওপেনার। গত ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৯ রান করলেও, এ দিন খালি হাতে ফিরে যান অভিমন্যু। সুদীপ ঘরামি ১৪ রানে আউট হন। সুদীপ চট্টোপাধায়ের জায়গায় সুযোগ পাওয়া ঋত্বিক রায়চৌধুরী দাগ কাটতে ব্যর্থ হলেন। সেট হয়েও ফিরে যান ৩৩ রানে। বাকি দুই অভিজ্ঞ সায়ন শেখর মন্ডল (৩৪) ও অনুষ্টুপ মজুমদার (২৯) শুরুটা ভাল করলেও লম্বা ইনিংস খেলতে পারলেন না। দুই সিনিয়র ফিরে যাওয়ার সময় ১১৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় দল।
তবে সেই সময় পালটা আক্রমণ না করে আউট হয়ে দলের চাপ বাড়ালেন দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ মনোজ তিওয়ারি। বরোদার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে চমকপ্রদ কিছু করে দেখাতে পারেননি রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ। প্রথম ইনিংসে খালি হাতে ফিরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৬১ বলে ৩৭ রান করেছিলেন। বাংলার জয়ে তাঁর ইনিংস কার্যকরী ভূমিকা নেয়। তবে এ বার প্রথম ইনিংসে ফের ব্যর্থ হলেন মনোজ। তিনি ১৩ বলে মাত্র ২ রানে আউট হন। তনয় ত্যাগরাজনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ক্রিজ ছাড়েন তিনি। সেই সময় ১১৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলা দলের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায়।
এমন সময় ফের রুখে দাঁড়ালেন অভিষেক ও শাহবাজ। প্রবল চাপে চুপসে না গিয়ে দুজন পালটা আক্রমণ চালালেন। মারমুখী মেজাজে ব্যাট চালানোর জন্য সপ্তম উইকেটে উঠল ৯৬ বলে ৭৪ রান। গত ম্যাচে এমনই পরিস্থিতিতে সপ্তম উইকেটে ১৩৪ বলে অবিচ্ছেদ্য ১০৮ রান ম্যাচের রঙ বদলে দিয়েছিল। এ দিনও সেই ঘটনার রিমেক ঘটালেন দুই তরুণ। গত ম্যাচের নায়ক ৬১ বলে ৪০ রানে ফিরে গেলেও, অভিষেক আত্মসমর্পণ করেননি। বরং অষ্ঠম উইকেটে আকাশ দীপকে সঙ্গে নিয়ে ঝোড়ো গতিতে যোগ করলেন ৩৭ বলে ৪০ রান। ফলে ২৪২ রানে থামল বাংলার প্রথম ইনিংস। ৬২ বলে ৭৩ রান করে থামলেন এই বাঁহাতি। ১০টি চার দিয়ে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস।
ব্যাট করতে নেমে হায়দরাবাদ দাপট ধরে রাখতে পারেনি। মুকেশের আগুনে পেসের জবাব দিতে না পেরে ১৫ রানে ২ উইকেট হারাল বিপক্ষ। তাই প্রথম ইনিংসে বড় রান করতে না পারলেও, পালটা চাপ বজায় রাখল বাংলা। সৌজন্যে জোরে বোলিং।
আরও পড়ুন: Wriddhimam Saha Exclusive: বিতর্কিত টুইট সিরিজ থেকে IPL-এ নতুন অঙ্গীকার, অকপট ঋদ্ধিমান
আরও পড়ুন: IPL 2022: কেন RCB-র অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন Virat Kohli? জানতে পড়ুন