দিল্লিতে সরকারি বাংলো ফেরালেন সচিন
দেশের রাজধানীতে ৭ হাজার স্কোয়ার ফিটের বাংলো। পাঁচটি সুসজ্জিত বেডরুম। বাড়ির সামনে মস্ত বড় সবুজ বাগান। একেবারে নিখরচায়। কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন। বললেন, দিল্লিতে মাত্র কয়েকমাস থাকার জন্য তিনি এই বাংলোটি নিতে পারবেন না।
দেশের রাজধানীতে ৭ হাজার স্কোয়ার ফিটের বাংলো। পাঁচটি সুসজ্জিত বেডরুম। বাড়ির সামনে মস্ত বড় সবুজ বাগান। একেবারে নিখরচায়। কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন। বললেন, দিল্লিতে মাত্র কয়েকমাস থাকার জন্য তিনি এই বাংলোটি নিতে পারবেন না। দেশজোড়া এত দুর্নীতির মধ্যে এমন দৃষ্টান্ত বিরল। বিরল তো হবেই, কেননা যিনি ফেরালেন, তিনি তো বিরল প্রতিভা। সচিন তেন্ডুলকর।
মাত্র কয়েকদিন আগেই রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে শপথ নিয়েছেন রেখা, অনু আগা ও সচিন তেন্ডুলকর। স্বাভাবিক কারণেই সরকারি বাংলো প্রাপ্য এই তিন সাংসদের। সেই মতো দিল্লির পাঁচ নম্বর তুঘলক লেনের বাংলোটি বরাদ্দ করা হয়েছিল সচিন তেন্ডুলকরের জন্য। প্রথমবার সাংসদ হলে তাঁদের জন্য সাধারণত টাইপ ফাইভ বা টাইপ সিক্স ক্যাটাগরির বাংলো বরাদ্দ হয়। কিন্তু সচিন তো শুধুমাত্র সাংসদ নন, তাঁর প্রথম ও বড় পরিচয় তো বিশ্ব জানে। তাই তাঁর জন্য বরাদ্দ হয়েছিল টাইপ সিক্স ক্যাটাগরির বাংলো। সাত হাজার স্কোযার ফিটের এই বাংলোয় ৫টি বেডরুম। বাড়ির সামনে নানারকম ফুলে সাজানো বিশাল বাগান। কিন্তু যঁর জন্য এত আয়োজন, তিনি এই বাংলো নিতে অস্বীকার করেছেন। সচিন জানিয়েছেন, বছরে কিছুদিন দিল্লিতে থাকার জন্য তাঁর বাংলোর কোনও প্রয়োজন নেই। বরং যাঁদের বেশি প্রয়োজন, তাঁদেরই দেওয়া হোক। সচিন আরও বলেছেন, সাংসদ হওয়ার সুযোগ সুবিধাগুলো নেওয়ার চেয়ে, তাঁর কাছে সাংসদ হওয়াটাই বেশি সম্মানের। ক্রিকেট মাঠে তাঁর হাজারো দৃষ্টান্ত গোটা বিশ্বকে মুগ্ধ করেছে। রোল মডেল হিসেবেও তিনি আদর্শ। রাজনীতির ময়দানে নেমে তাঁর ইনিংসের শুরুতেই যে স্ট্রেট ড্রাইভটি মারলেন, তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাক দেশের রাজনীতিকদের কাছেও।