Paschim Medinipore: বিকেল হলেই সেলাইন খুলে হাতে চ্যানেল নিয়ে রাস্তায় বসে রোগী, কিন্তু কেন?

দুপুরের পর সূর্যের তাপ কাটলে বিকেল হলেই হাত থেকে সেলাইন খুলে রোগীরা বেরিয়ে পড়ছেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বাইরে। রোগী থেকে রোগীর পরিজন সকলেরই দাবি, প্রচন্ড তাপপ্রবাহের কারনে হাসপাতালের ভেতরে থাকা যাচ্ছে না। ভেতরে থাকলে আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারা। এরকমই অভিযোগ তাদের।

Updated By: Apr 20, 2023, 08:30 AM IST
Paschim Medinipore: বিকেল হলেই সেলাইন খুলে হাতে চ্যানেল নিয়ে রাস্তায় বসে রোগী, কিন্তু কেন?
নিজস্ব চিত্র

চম্পক দত্ত: গরমের হাত থেকে বাঁচতে বিকেল হলেই সেলাইন খুলে চ্যানেল করা হাতে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বাইরে সারি দিয়ে বসে রোগীরা। তীব্র তাপপ্রবাহের মাঝেই এমনই ছবি দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের বীরসিংহ বিদ্যাসাগর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। দুপুরের পর সূর্যের তাপ কাটলে বিকেল হলেই হাত থেকে সেলাইন খুলে রোগীরা বেরিয়ে পড়ছেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বাইরে। রোগী থেকে রোগীর পরিজন সকলেরই দাবি, প্রচন্ড তাপপ্রবাহের কারনে হাসপাতালের ভেতরে থাকা যাচ্ছে না। ভেতরে থাকলে আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারা। এরকমই অভিযোগ তাদের।

তাই তারা বাধ্য হয়ে হাসপাতালের বাইরে বেরিয়ে আসছেন একটু স্বস্তির জন্য। অনেক রোগীর দাবি বিকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এইভাবেই বাইরে বসে কাটাচ্ছেন তাঁরা। রোগীর পরিজনরা বলেন এই বিষয়ে চিকিৎসক ও কর্তব্যরত নার্সদেরকে জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি। কেন বিকেল হলেই সেলাইন খুলে রোগীদের স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বাইরে লনে গাছের তলায় চলে আসতে হচ্ছে?

বেশকিছু রোগীর দাবি, প্রয়োজনের তুলনায় হাসপাতালে পাখা নেই, যেকটি পুরানো পাখা রয়েছে তা এই গরমে কোনও কাজেই লাগছেনা। পর্যাপ্ত পাখা না থাকায় বিকেল হওয়ার অপেক্ষায় থাকে রোগীরা। বাইরের বাতাসে দীর্ঘক্ষণ বসে একটু হলেও উপশম হয় বলে দাবি তাদের। হাসপাতালে প্রয়োজন অনুসারে পাখা বাড়ানোর কথা কর্তৃপক্ষকে বলা হয় রোগী ও তাদের পরিজনদের পক্ষ থেকে। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা না হওয়ায় অগত্যা বাইরে চলে আসতে হয় বলে জানান তারা।

আরও পড়ুন: Jalpaiguri Accident: সবজি বোঝাই লরির সঙ্গে গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ, ঘটনাস্থলেই মৃ্ত্যু চিকিত্সকের

হাসপাতালে পর্যাপ্ত পাখা ও এগজস্ট ফ্যান রয়েছে বলে জানান ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এক চিকিৎসক সপ্তর্ষি পাল। তবে এই বিষয়ে তিনি হাসপাতালের ভিতরে তীব্র গরমের জন্য অবশ্য অন্য সমস্যার কথা শুনিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘তাপপ্রবাহ দিন দিন বাড়ছে। দ্বিতল ভবন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ছাদের উপরে কোনও শেড না থাকার কারনে জ্বর বা অন্য কোনও রোগ নিয়ে কেউ ভর্তি হলে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে রোগীরা’।

আরও পড়ুন: Raju Jha Murder Case: রাজু ঝা হত্যাকাণ্ডে জড়িত তারই একসময়ের সহযোগী! পুলিসের স্ক্যানারে দুর্গাপুরের ব্যবসায়ী

তিনি আরও বলেন, ‘এই তাপপ্রবাহের কারনে শুধু রোগীরা নয় সমস্ত নার্স এবং চিকিৎসকদেরও অসুবিধা হয়। এই বিষয়ে বহুবার মহকুমাশাসক ও বিডিও অফিসে জানানো হয়েছে যদি একটা শেডের ব্যাবস্থা করে দেওয়া হয় তাহলে রোগীদের এইভাবে বাইরে বেরোতে হবে না এবং আমাদের সকল স্টাফেদের ডিউটি করতে সুবিধা হবে’। তিনি আরো বলেন, ‘প্রসূতি মায়েদের ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে  সেড এর ব্যবস্থা হলে। না হলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে’। তিনি আবারও প্রসাশনিক দফতরে আবেদন জানাবেন বলে জানান।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

 

.