Bankura: জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জের, নার্সিংহোমে মৃত্যুতেও সরকারি ক্ষতিপূরণ!

স্থানীয় সূত্রে খবর, বাঁকুড়া শহরে ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বিবেকানন্দ পল্লীর বাসিন্দা ছিলেন  শিবু মালাকার। দিনমজুরি করতেন তিনি। অভাবেবর সংসার চলত কোনওমতে। এরইমধ্যে ১১ অগাস্ট স্ট্রোক হয় শিবুর। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে। ১৬ অগাস্ট পর্যন্ত সেখানে চিকিত্‍সাধীন ছিলেন শিবু। এরপর কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। পরে নার্সিংহোমে মৃত্যু। 

Updated By: Sep 16, 2024, 08:03 PM IST
Bankura: জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জের, নার্সিংহোমে মৃত্যুতেও সরকারি ক্ষতিপূরণ!

মৃত্যুঞ্জয় দাস:  গাফিলতির অভিযোগ তো নেই-ই, বরং মেডিক্যাল কলেজে চিকিত্‍সায় কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। শেষপর্যন্ত মৃত্যু হয় নার্সিংহোমে। কীভাবে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে মৃতদের তালিকায় নাম? হতবাক পরিবারের লোকেরা। ক্ষুদ্ধ জুনিয়র ডাক্তাররা। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ায়।

আরও পড়ুন:  Balurghat Incident:'কর্মবিরতি নয়, গাফিলতি'! সরকারি অনুদান ফেরাল মৃত শিশুর পরিবার....

স্থানীয় সূত্রে খবর, বাঁকুড়া শহরে ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বিবেকানন্দ পল্লীর বাসিন্দা ছিলেন  শিবু মালাকার। দিনমজুরি করতেন তিনি। অভাবেবর সংসার চলত কোনওমতে। এরইমধ্যে ১১ অগাস্ট স্ট্রোক হয় শিবুর। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে। ১৬ অগাস্ট পর্যন্ত সেখানে চিকিত্‍সাধীন ছিলেন শিবু। এরপর কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। 

বাড়িতে ফেরার পর ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন শিবু। বাড়ির কাছেই একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেই নার্সিংহোমেই তাঁর মৃত্যু হয় ২২ অগাস্ট। রাজ্যের দাবি, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি কারণে সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা না পেয়ে রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্য়ে বিনা চিকিত্‍সায় এখনও পর্যন্ত মৃত ২৯। মৃতদের পরিবারের পিছু ২ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। সেই তালিকায় নাম রয়েছে বাঁকুড়া শিবু মালাকারেরও! 

পরিবারের লোকেদের বক্তব্য, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে প্রত্যাশামতোই চিকিত্‍সা পরিষেবা পেয়েছেন তাঁরা। চিকিত্‍সকরা তো বটেই, স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজেও কোনও গাফিলতি ছিল না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেরও দাবি, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে চিকিত্‍সায় কোনও গাফলতি হয়নি।

এদিকে বালুরঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া  ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য় নিতে নারাজ দুর্ঘটনা মৃত শিশুর পরিবার।  তাদের দাবি, জুনিয়র চিকিত্‍সকদের আন্দোলন তখনও শুরু হয়নি। চিকিত্‍সক দেরিতে আসার কারণেই মৃত্যু হয়েছিল ওই শিশুরটি। টাকা নয়, বিচার চান তাঁরা।  মৃতের দিদির কথায়, 'দক্ষিণ দিনাজপুরে কোনও মেডিকেল কলেজ নেই, জুনিয়র ডাক্তারও নেই। তাই জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের জেরে আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে যে প্রচার করা হচ্ছে, তা মিথ্যে। আমরা টাকা চাই না, আমরা  বিচার চাই,  চিকিৎসকের শাস্তি চাই'।

আরও পড়ুন:  Siddiqullah Chowdhury: 'লাটসাহেবি কোথা থেকে আসছে? ক্ষমতা আছে একটা ডাক্তারের? কাদের মদতে?'

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.