গজলডোবায় সরিয়ে নেওয়া হল হেলিপ্যাডের ফলক
শনিবার বিকেলে মিলনপল্লি থেকে ওই ফলকটি প্রশাসনের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সরিয়ে নেয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গজলডোবায় হেলিপ্যাড বিতর্কে জল ঢালল প্রশাসন। সরিয়ে নেওয়া হল হেলিপ্যাডের ফলক। শনিবার বিকেলে মিলনপল্লি থেকে ওই ফলকটি প্রশাসনের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সরিয়ে নেয়।
গজলডোবায় ভোরের আলো প্রকল্প ঘিরে হেলিপ্যাড বিতর্ক তৈরি হয়েছিল গত মঙ্গলবার সকালে। সেদিন সকাল থেকে সেখানে বিক্ষোভ দেখান কৃষকদের একাংশ। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিস যায়।
আরও পড়ুন: হেলিপ্যাড বিতর্কে উত্তপ্ত গজলডোবা, বিক্ষোভে 'জয় শ্রী রাম' স্লোগান
কিন্তু পুলিস গেলে সেখানে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারী কৃষকরা পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সেখানকার সাইনবোর্ডও ভেঙে দেওয়া হয়। সেখানে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
গজলডোবায় পর্যটন হাব করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। নাম দেওয়া হয় ভোরের আলো। গত বছর অক্টোবরে প্রকল্পের উদ্বোধন হয়। তার পর চলতি জুনের গোড়ায় গজলডোবা ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাটগাছিতে শাহাজাহানের নেতৃত্বে হামলা, অভিযোগ বিজেপির, পাল্টা জ্যোতিপ্রিয়র
সেখানে বসানো একটি হেলিপ্যাডের ফলককে ঘিরেই বিতর্কের সূত্রপাত হয়। জানা গিয়েছে, ভিভিআইপিদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য গজলডোবায় মিলনপল্লি গ্রামে প্রায় ৫০ একর জমি নিয়ে হেলিপ্যাড তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের। প্রস্তাবিত জমিটি সরকারের, তবে সেখানে ৫০টি কৃষক পরিবারের বাস। তাঁরাই এই প্রকল্পে বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ।
গত শনিবার কৃষকদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। পুলিস তিন বিক্ষোভকারীকে আটক করে। পরে তাঁদেরকে বিজেপি সমর্থকরা ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার সকাল থেকেই ফের কৃষকদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন: বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সন্দেশখালি, ৪ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা
এমনকী, ঘটনাস্থলে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবকে। তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়। যদিও গৌতম দেব স্পষ্ট করে দেন যে, যাদের সরকারি কাগজ রয়েছে তাদের একইঞ্চিও জমি সরকার নেবে না। আর তার পরই প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরিয়ে নেওয়া হল হেলিপ্যাডের ফলক।