ভুয়ো ভ্যাকসিনে আতঙ্ক, সোনারপুরে বিধায়কের দ্বারস্থ স্থানীয়দের একাংশ
কসবায় গিয়ে ভ্যাকসিন নিয়েছেন সাড়ে পাঁচশোরও বেশি মানুষ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভুয়ো ভ্যাকসিনে আতঙ্ক। 'প্রতারক' দেবাঞ্জন দেবের গ্রেফতারির এবার সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক লাভলী মৈত্রের দ্বারস্থ হলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁদের দাবি, যে ভ্যাকসিন পেয়েছেন, তা আসল কিনা, তা খতিয়ে দেখতে হবে। সঙ্গে প্রশ্ন, সরকারি পোর্টালে নামইবা কিভাবে নথিভুক্ত করবেন?
সরকার যখন বলছে, রাজ্যে পর্যাপ্ত টিকা নেই, তখন ভুয়ো IAS অফিসার দেবাঞ্জন দেব ভ্যাকসিন পেলেন কী করে? ভায়ালে ভ্যাকসিনে পরিবর্তে অন্য কিছু ছিল না তো? কসবাকাণ্ডে তদন্তে নেমেছে কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি ফ্রড বিভাগের আধিকারিকরা। তদন্তে ইতিমধ্যেই উঠেছে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আরও পড়ুন: ভুয়ো ক্যাম্প থেকে টিকা নিয়ে আতঙ্কে ভুগছেন রুমা, ভরতচন্দ্রেরা; কলেজের তরফে অভিযোগ দায়ের থানায়
জানা দিয়েছে, উত্তর কলকাতায় সিটি কলেজেও ১৮ জুন ভ্যাকসিন ক্যাম্প করেছিল ভুয়ো IAS অফিসার দেবাঞ্জন দেব। সেই ক্যাম্পে টিকা নিয়েছিলেন কলেজের অধ্যাপক, পড়ুয়া, এমনকি সাধারণ মানুষও। আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার অভিযোগ দায়ের করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, কলেজের এক প্রাক্তন পড়ুয়ার সাহায্যে ওই ক্যাম্প আয়োজন করে ধৃত দেবাঞ্জন। কিন্তু অনুমতি মিলল কী করে? প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুন: করোনা বিধিনিষেধের মধ্যেও চলছে বনভোজন, মূর্তি নদীতে জমা হচ্ছে জঞ্জাল
স্থানীয় সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে অবশ্য ক্যাম্প হয়নি। তবে কসবায় গিয়ে ভ্যাকসিন নিয়েছেন সাড়ে পাঁচশোর জনেরও বেশি মানুষ। তাঁদের কারও কাছেই কোনও ম্যাসেজ আসেনি এখনও পর্যন্ত। অনেকের আবার ভ্যাকসিন নেওয়ার পর পেরিয়ে গিয়েছে ১০ দিন। ফলে আতঙ্কও বেড়েছে। এদিন সকালে সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক লাভলী মৈত্রের কাছে যান অনেকেই। তাঁদের দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন বিধায়ক। বস্তুত, তিনি ইতিমধ্যেই পুরসভা ও স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গিয়েছে।