‘মাছের তেলে মাছ ভাজেন উনি, কেন্দ্রের টাকা দিচ্ছেন নিজের নাম করে’

আমফান পরবর্তি বিদ্যুত পরিষেবা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, বিদ্যুৎ দপ্তর কি কাজ করেছে ১৫ দিন পরেও বোঝা যাচ্ছে

Reported By: অঞ্জন রায় | Updated By: Jun 3, 2020, 10:34 PM IST
‘মাছের তেলে মাছ ভাজেন উনি, কেন্দ্রের টাকা দিচ্ছেন নিজের নাম করে’

নিজস্ব প্রতিবেদন: আমফান ও করোনা মোকাবিলায় বেশকিছু আর্থিক ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘প্রচেষ্ঠা’-য় হাজার টাকা দেওয়া থেকে শুরু করে সুন্দরবনের মত্সজীবীদের জন্য বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন মমতা। সেসব-সহ একগুচ্ছ বিষয়ে মমতার সমালোচানা করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

সম্প্রতি আমফানে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা ঘুরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যের জন্য হাজার কোটি টাকা ত্রাণও ঘোষণা করেছেন তিনি। বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে তাকেই হাতিয়ার করে মমতাকে নিশানা করলেন দিলীপ ঘোষ।

আরও পড়ুন-গাড়ি নেই, অফিস ঢুকতে 'লেট'? সরকারি কর্মীদের স্বস্তি দিয়ে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

রাজ্য বিজেপি সভাপতি বলেন, মাছের তেলে মাছ ভাজেন উনি। কেন্দ্রের দেওয়া টাকা দিচ্ছেন নিজের নাম করে। নিজের নামে চালাকি করছেন উনি। বলছেন ৪ লক্ষ লোক এসেছেন বাইরে থেকে। এত ট্রেন তো পশ্চিমবঙ্গে আসেনি। যা ইচ্ছা তাই বলছেন। তথ্যের কোন মাথামুণ্ডু নেই। আমরা কেউ প্ররোচনা দিচ্ছি না শ্রমিকরাই কিছু না পেয়ে বিক্ষোভ করছেন। এদের জন্য কি ব্যবস্থা করেছেন উনি ? আর কতদিন এভাবে চালাবেন উনি ? এতে বিরোধীদের কি করার আছে ? কত শ্রমিক, কত পরিযায়ী শ্রমিক তার কোনও হিসাব নেই। উনি জগন্নাথের মতো বসে রয়েছেন আর উপদেশ দিচ্ছেন। কেন্দ্র কি দেবে তা কি উনি ঠিক করে দেবেন ?

আমফান পরবর্তি বিদ্যুত পরিষেবা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, বিদ্যুৎ দপ্তর কি কাজ করেছে ১৫ দিন পরেও বোঝা যাচ্ছে। আলো নেই ।মন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ চলেছে। কাউন্সিলর নেতারা পালিয়ে যাচ্ছেন। আর উনি বলছেন এসব কথা।

রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, যার বিবেক আছে তার উপরেই ছাড়বে। আমার সন্দেহ উনার কোন বিবেক আছে নাকি ? আমরা চাই রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর ঝগড়া বন্ধ হোক।

আরও পড়ুন-বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে ২২ বার 'মিসড কল'! মুখ্যসচিব শুনেই বললেন, 'আপনি তো খুব পপুলার'  

পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরা প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, রেল কোথাও রাজনীতি করছে না। সারাদেশে কয়েক কোটি পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফিরে গেলেন। শুধু এই রাজ্যে এত গন্ডগোল! তার মানে উনি কোনও ব্যবস্থা নেননি। এরাজ্যে কিভাবে থাকবে কিভাবে খাবার ব্যবস্থা হবে তা কিছুই ভাবেননি উনি। রেলকে দোষ দিলে হবে ? একজন কারোর ঘাড়ে চাপাতে হবে তাই উনি রেলের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন।

.