Student Credit Card: স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে মেলেনি লোন! অভাবে-অবসাদে বিষ পান, সংকটে নার্সিং পড়ুয়া
Student Credit Card: পুরো কোর্স সম্পূর্ণ করতে খরচ পড়বে সাড়ে তিন লাখ টাকা। ভর্তির সময় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় এককালীন এক লাখ টাকা জমা দিয়ে কলেজে ক্লাস শুরু করে তিথি। কলেজ জানিয়েছে, পরীক্ষার আগে তাকে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দিতে হবে। তা না-হলে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না।
চম্পক দত্ত: টাকার অভাবে মাঝপথে বন্ধ হবে পড়াশোনা? একাধিকবার ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে প্রশাসনের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছে। কিন্তু তবুও মেলেনি স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে লোন! ব্যাঙ্ক হাত তুলে নিয়েছে। ব্যাঙ্ক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, 'হবে না। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড লোন হবে না।' এই পরিস্থিতিতে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায়, শঙ্কায় কোনও উপায় না দেখে পেয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা এক ছাত্রীর। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ভেয়েরবাজার এলাকার জয়দেব দলুই ও রিঙ্কু দলুইয়ের একমাত্র মেয়ে তিথি দলুই। এবছরই উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে তিথি। নার্সিং পড়ার স্বপ্ন নিয়ে তারপরই বেঙ্গালুররু একটি নার্সিং কলেজে ভর্তি হয়েছিল তিথি। কিন্তু স্বপ্নপূরণে বাধা হয়ে দাঁড়ায় আর্থিক অস্বচ্ছলতা। আর সেই সমস্যা সমাধানেই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লোন নিতে ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ হয়েছিল তিথি। কিন্তু সেখানেও তাকে হতাশ হতে হয়। নিরাশ হয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়।
জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুর যে নার্সিং কলেজে তিথি ভর্তি হয়েছিল, সেই কলেজের কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয় যে পুরো কোর্স সম্পূর্ণ করতে খরচ পড়বে সাড়ে তিন লাখ টাকা। ভর্তির সময় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় এককালীন এক লাখ টাকা জমা দিয়ে কলেজে ক্লাস শুরু করে তিথি। এরপরই বাকি টাকা মেটানোর জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে লোনের আবেদন করে তিথি ও তার বাবা-মা। তিথিরা ভেবেছিল যে, এই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে তারা ব্যাংক থেকে লোন পেয়ে যাবেন। কিন্তু সমস্ত প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি জমা দিলেও লোন মেলেনি। একাধিকবার ব্যাঙ্কে ঘুরেও কোনও সুরাহা হয়নি। লোন না পেয়ে মানসিক অবসাদে চলে যায় তিথি। আর তারপরই নার্সিং পড়ুয়া তিথি আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে জানিয়েছে তার পরিবার। মানসিক অবসাদ থেকে বিষ পান করে নেয় তিথি। বর্তমানে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেডে শুয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে তিথি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অবস্থা সংকটজনক।
আরও পড়ুন, নদীর নামেই পরিচয়, স্বাধীনতার ৭৫ পূর্তিতে নতুন স্টেশন পেল ক্যানিংবাসী
তিতিথির মা রিঙ্কু দলুই অভিযোগ করেছেন, 'নবান্ন থেকে শুরু করে বিকাশ ভবনে একাধিকবার আমার মেয়েটা স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য গিয়েছে। এমনকি ব্যাঙ্কেও গিয়েছে। কিন্তু ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ফিরিয়ে দিয়েছে। আর এদিকে দ্বিতীয় কিস্তির টাকার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ চাপ দিচ্ছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরীক্ষার আগে তাকে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দিতে হবে। তা না-হলে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না।' যেখানে সরকার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু করেছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় যেখানে বার বার ব্যাঙ্কগুলিকে লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছে, সেখানে কেন লোন পাওয়া যাবে না? প্রশ্ন পরিবার থেকে এলাকাবাসীর।