ফিল্মি কায়দায় শিশু অপহরণ করেও হল না শেষরক্ষা, পুলিসের জালে দুই দুষ্কৃতী
ফিল্মি কায়দায় অপহৃত শিশু এবং পরে উদ্ধার। পাণ্ডুয়ার এক ব্যবসায়ীর আড়াই মাসের ছেলেকে বাড়ির কাছ থেকে অপহরণ করা হয়। শেষপর্যন্ত পুলিসি তৎপরতায় বৈঁচি থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশী চালানো হচ্ছে। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর, পান্ডুয়ার সারদাপল্লী এলাকায় ব্যবসায়ী মনোরঞ্জন সাহার শিশু পুত্রকে নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির কাছেই বাইকে চাপিয়ে ঘোরাতে নিয়ে যান সুমন নামে ব্যবসায়ীর এক কর্মচারী।
বিধান সরকার: ফিল্মি কায়দায় অপহৃত শিশু এবং পরে উদ্ধার। পাণ্ডুয়ার এক ব্যবসায়ীর আড়াই মাসের ছেলেকে বাড়ির কাছ থেকে অপহরণ করা হয়। শেষপর্যন্ত পুলিসি তৎপরতায় বৈঁচি থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশী চালানো হচ্ছে। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর, পান্ডুয়ার সারদাপল্লী এলাকায় ব্যবসায়ী মনোরঞ্জন সাহার শিশু পুত্রকে নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির কাছেই বাইকে চাপিয়ে ঘোরাতে নিয়ে যান সুমন নামে ব্যবসায়ীর এক কর্মচারী।
আরও পড়ুন, Cyclonic Mocha: আজ সন্ধ্যায় গভীর নিম্নচাপ তৈরি, ক্রমশ উত্তাল হচ্ছে সমুদ্র
সেই সময় মুখে রুমাল বাঁধা অবস্থায় দুই দুষ্কৃতী এসে সুমনকে মারধর করে শিশুটিকে ছিনিয়ে নিয়ে বাইকে করে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। সুমন খবর দিতেই মনোরঞ্জনের স্ত্রী পান্ডুয়া থানার পুলিসকে জানান। তড়িঘড়ি পান্ডুয়া থানার পুলিস চলে আসে ব্যবসায়ীর কম্পিউটার সেন্টারে। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিস। দুপুর ২. ১০ নাগাদ অপহরণকারীরা মনোরঞ্জন সাহাকে ফোন করে লক্ষাধিক মুক্তিপণ দাবি করে। পুলিস সেই মোবাইল নম্বরও ট্র্যাক করে এবং বিভিন্ন জায়গায় নাকা তল্লাশি শুরু করে।
পান্ডুয়া থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে বৈঁচির কাছে একটি পেট্রোল পাম্পের সামনে শিশুটিকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অপহরণকারীরা। পুলিস সেখান থেকে শিশুকে উদ্ধার করে নিয়ে এসে পরিবারের হাতে তুলে দেয়। দীর্ঘক্ষণ পর ছেলেকে পেয়ে বুকে আঁকড়ে ধরে কাঁদতে থাকেন মা। স্বস্তি ফেরে পরিবারে। স্থানীয় বাসিন্দা শিব শংকর সাহা বলেন, দিনে দুপুরে এভাবে অপহরণের ঘটনা আগে শুনিনি। শোনার পর আমরা সকলেই অবাক হয়ে গিয়েছি। শিশুটিকে উদ্ধার হয়েছে এটাই ভালো।
পান্ডুয়া থানার পুলিস জানায়, একটি শিশুকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। খবর পেয়ে পুলিস ধাওয়া করে বৈঁচি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে। অভিযুক্তদের খোঁজ চালানো হচ্ছে। কি উদ্দেশ্যে কেন শিশুটিকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তার তদন্ত চলছে। কেন এক রত্তি শিশুকে অপহরণ তা নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি ব্যবসায়ীর পরিবার। শিশুটি অপহরণের পর মু্ক্তিপন চেয়েও কেন তাকে ফেলে দিয়ে যায় অপহরণকারীরা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস।অপহরণের উদ্দেশ্য মু্ক্তিপণ ছিল না অন্য কিছু তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিস সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন, Digha: ব্যাংকে ঢুকে গ্রাহকের টাকার ব্যাগ কাটতে গিয়ে পাকড়াও বাংলাদেশি যুবক, পেছনে অন্য কাহিনী!