সুড়ঙ্গ খুঁড়ে লকার লুঠ, হাওড়ায় গ্রেফতার নভি মুম্বইয়ের ব্যাঙ্ক ডাকাতির পাণ্ডা
পুলিসের হাত থেকে বাঁচতে দিদির বাড়িতে এসেছিল। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না। দিদির বাড়িতে এসেই শেষ পর্যন্ত পুলিসের জালে ধরা পড়তে হল নভি মুম্বইয়ে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ডাকাতির মূল পাণ্ডা শেখ মহিউদ্দিনকে। হাওড়ার পাঁচলার নলপুর বেলডুবি পঞ্চায়েতের জলাকানডুয়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় মহিউদ্দিনকে। ডাকাতির কিনারা করতে ইতিমধ্যেই মহিউদ্দিন মুম্বইতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে খবর।
নিজস্ব প্রতিনিধি : পুলিসের হাত থেকে বাঁচতে দিদির বাড়িতে এসেছিল। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না। দিদির বাড়িতে এসেই শেষ পর্যন্ত পুলিসের জালে ধরা পড়তে হল নভি মুম্বইয়ে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ডাকাতির মূল পাণ্ডা শেখ মহিউদ্দিনকে। হাওড়ার পাঁচলার নলপুর বেলডুবি পঞ্চায়েতের জলাকানডুয়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় মহিউদ্দিনকে। ডাকাতির কিনারা করতে ইতিমধ্যেই মহিউদ্দিন মুম্বইতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে খবর।
১৩ নভেম্বর নভি মুম্বইয়ের ব্যাঙ্ক অব বরোদার জুইনগর শাখায় ডাকাতি হয়। ওইদিন মুম্বইয়ের ওই শাখার কর্মীরা আশ্চর্য হয়ে দেখেন, ব্যাঙ্কের ২৭টি লকার লুঠ হয়েছে, অথচ অক্ষত ব্যাঙ্কের সব দরজা-জানলা।
আরও পড়ুন : রোমহর্ষক ডাকাতি, সুড়ঙ্গ খুঁড়ে লুথ ব্যাঙ্কের ২৭ লকার
তদন্তে নেমে পুলিসের সামনে আসে হাড়হিম করা ডাকাতির ঘটনা। জানা যায়, ব্যাঙ্কের পাশের দোকানের ভিতর থেকে খোঁড়া সুড়ঙ্গ দিয়েই ডাকাত দল সেখানে ঢোকে। তারপরই চলে লুঠতরাজ। দেখা যায়, ব্যাঙ্কের মোট ২৭টি লকার ভাঙা হয়েছে। সেখানেই নজরে আসে, লকার রুমের মধ্যে আস্ত একটা সুড়ঙ্গ। যা দেওয়াল ভেদ করে চলে গিয়েছে অন্যত্র।
পুলিস জানায়, সিঁধ কেটে ডাকাতরা লকার থেকে বেশকিছু মূল্যবান সামগ্রী ও গয়না নিয়ে পালিয়েছে। ব্যাঙ্কের বাইরে একটি দোকানের সুড়ঙ্গ দিয়েই তারা ভেতরে ঢোকে। তবে ঠিক কত টাকার জিনিস লুঠ হয়, সে বিষয়ে এখনও খোঁজ চলছে। তবে ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ফুটেজে যে ৩ জনকে দেখা যায়, তার মধ্যে থেকেই সনাক্ত করা হয় ডাকাতির মূল পাণ্ডা শেখ মহিউদ্দিনকে। তারপর থেকেই মহিউদ্দিনের খোঁজ চলছিল। কিন্তু, মুম্বইতে মহিউদ্দিনের বাড়িতে খোঁজ চালিয়েও প্রথমে তার টিকি পর্যন্ত ছুঁতে পারেনি পুলিস। এরপরই মহিউদ্দিন পশ্চিমবঙ্গে থাকতে পারে বলে খবর পাওয়া যায়। সেই অনুযায়ী এ রাজ্যের পুলিসকে বিষয়টি জানিয়ে রাখা হয় মুম্বই পুলিসের তরফে।
এরপর হাওড়ার পাঁচলার বেলডুবি গ্রামে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তির খোঁজ পায় স্থানীয় পুলিস। গ্রামের লোকের কাছ থেকে জানা যায়, মাত্র কয়েকদিন আগেই ওই ব্যক্তি তার দিদির বাড়িতে থাকতে এসেছে। বাংলা ভাষা যার ধাতস্ত নয়। এরপরই সন্দেহ বাড়তে থাকায় মহিউদ্দিনের উপর নজরদারি শুরু করে পুলিস। শেষে জানা যায়, নভি মুম্বইয়ের ওই ডাকাতির ঘটনার পরই গা ঢাকা দিতে দিদির বাড়িতে পালিয়ে এসেছে মহিউদ্দিন। এরপর মুম্বই পুলিসকে খবর দেওয়া হয়। এবং, সেখান থেকেই ধরা হয় মহিউদ্দিনকে।
জানা যায়, মহিউদ্দিনের দিদি সালমা মারাঠি হলেও, পাঁচলার বাসিন্দা শেখ হাসানকে বিয়ে করার পর থেকে তাঁর মহারাষ্ট্রের যোগ প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু, সালমার বাড়িতেই শেষ পর্যন্ত আশ্রয় নিতে গিয়ে পুলিসের জালে ধরা পড়তে হয় মহিউদ্দিনকে। অর্থাত, দিদির বাড়িতে গা ঢাকা দিয়েও শেষ পর্যন্ত ভাষা বিভ্রাটের জেরেই গারদে যেতে হল কুখ্যাত মহিউদ্দিনকে।