কল্পনার বাস্তবে অবতরণ, 'স্বর্গ' ছোঁয়া টাওয়ারের ছাদ থেকে মহাকাশ অভিযানে পাড়ি দেবে স্পেসক্র্যাফট!

আকাশ ছোঁয়া কুড়ি কিলোমিটার লম্বা একটা টাওয়ার। মেঘের সঙ্ঘে যার চুড়ো লুকোচুরি খেলে ইচ্ছামত। যার ছাদ থেকে সাঁসাঁ করে উড়ে যাচ্ছে সব মহাকাশ যান। ভাবছেন কল্পবিজ্ঞানের পাতা এ অনেকটা কল্পবিজ্ঞানের পাতা থেকে এক লাফে বাস্তবে অবতারণ। মহাকাশ অভিযানের খরচা কমাতে এবার সেই ধরণের টাওয়ার তৈরির প্রস্তাবই দিল একটি কানাডিয়ান স্পেশ কোম্পানি।

Updated By: Aug 17, 2015, 03:43 PM IST
কল্পনার বাস্তবে অবতরণ, 'স্বর্গ' ছোঁয়া টাওয়ারের ছাদ থেকে মহাকাশ অভিযানে পাড়ি দেবে স্পেসক্র্যাফট!
photo courtesy: thothx.com

ওয়েব ডেস্ক: আকাশ ছোঁয়া কুড়ি কিলোমিটার লম্বা একটা টাওয়ার। মেঘের সঙ্ঘে যার চুড়ো লুকোচুরি খেলে ইচ্ছামত। যার ছাদ থেকে সাঁসাঁ করে উড়ে যাচ্ছে সব মহাকাশ যান। ভাবছেন কল্পবিজ্ঞানের পাতা এ অনেকটা কল্পবিজ্ঞানের পাতা থেকে এক লাফে বাস্তবে অবতারণ। মহাকাশ অভিযানের খরচা কমাতে এবার সেই ধরণের টাওয়ার তৈরির প্রস্তাবই দিল একটি কানাডিয়ান স্পেশ কোম্পানি।

গত মাসেই কানাডার Thoth Technology মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ''স্পেস এলিভেটর''-এর পেটেন্ট জোগাড় করে ফেলেছে। এই পরিকল্পনা সত্যি হলে স্পেস এলিভেটরটিই পৃথিবীর দীর্ঘতম বিল্ডিং হতে চলেছে, যেটি দুবাইয়ের ৮২৯ মিটারের বুর্জ খালিফার থেকেও লম্বায় ২০গুণ বেশি হবে। এমনকি ছাপিয়ে যাবে তথাকথিত ''আর্মস্ট্রং লিমিট''-কেও (মাটি থেকে আকাশের দিকে লম্বায় ১৯ কিলোমিটার লম্বার পর এমন একটা পয়েন্ট যেখানে বায়ুর চাপ খুব কম হওয়ার জন্যবডি ফ্লুইড ফুটতে শুরু করে।)

স্পেস এলিভেটর টাওয়ারের সেগমেন্টেড এলিভেটর কোর স্ট্রাকচার থাকবে, প্রতিটি সেগমেন্টে অন্তত একটি করে নিউমেটিক্যালি চাপযুক্ত কক্ষ থাকবে। এই প্রতিটি কক্ষ বাতাস বা অন্য কোনও গ্যাস দিয়ে ভর্তি থাকবে।

উপর-নীচ করার জন্য বিল্ডিংটির বাইরের স্ট্রাকচারে থাকবে এলিভেটর গাড়ি বা ভিতরে থাকবে একটি খাদের মত একটা অঞ্চল।

সম্পুর্ণ স্ট্রাকচারটি জাইরোস্কোপিক ও অ্যাকটিভ কন্ট্রোল মেশিনারি দিয়ে স্থিতাবস্থায় আনা হবে।

Thoth Technology-এর মতে এই বিল্ডিংটি থেকে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে সহজেই মহাকাশযান ছাড়া সম্ভব হবে। ব্যপক হারে জ্বালানীর সাশ্রয় হবে।

গবেষকরা জানিয়েছেন এই বিল্ডিংটির ছাদকে মহাকাশযানের ওঠা নামার জন্য লঞ্চিং প্যাড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে, তাঁদের বিশ্বাস এতে মহাকাশ অভিযানের খরচ অন্তত এক তৃতীয়াংশ কমে যাবে।

 

 

.