মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে `ইউয়ান` দিয়ে ইরানের তেল আনবে চিন

হিলারি রডহ্যাম ক্লিনটনের `পরামর্শ` উপেক্ষা করে নয়াদিল্লি শেষ পর্যন্ত ইরান থেকে তেল আমদানি চালিয়ে যাবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রতিবেশী চিন কিন্তু এ ব্যাপারে আমেরিকা আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের হুঁশিয়ারিকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনছে না। শুধু তাই নয়, পরিস্থিতির পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে ডলার আর ইউরো`র মোকবিলায় ইউয়ানকে বিশ্ব-বাজারে ঠাঁই করে দেওয়ারও পরিকল্পনা নিয়েছে বেজিং।

Updated By: May 9, 2012, 04:31 PM IST

হিলারি রডহ্যাম ক্লিনটনের `পরামর্শ` উপেক্ষা করে নয়াদিল্লি শেষ পর্যন্ত ইরান থেকে তেল আমদানি চালিয়ে যাবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রতিবেশী চিন কিন্তু এ ব্যাপারে আমেরিকা আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের হুঁশিয়ারিকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনছে না। শুধু তাই নয়, পরিস্থিতির পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে ডলার আর ইউরো`র মোকবিলায় ইউয়ানকে বিশ্ব-বাজারে ঠাঁই করে দেওয়ারও পরিকল্পনা নিয়েছে বেজিং।
তবে ডলারের বিকল্প আন্তর্জাতিক মুদ্রা হিসেবে মুদ্রা হিসেবে ইউয়ান`কে তুলে ধরার জন্য বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রবল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বেজিং। সাম্প্রতিককালে ইরানের তেল আমদানির ক্ষেত্রে আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা হু জিনতাও-ওয়েন জিয়াবাওদের সামনে সেই আশাপূরণের পথ অনেকটাই প্রশস্ত করেছে। পরিস্থিতির সদ্ব্যবহার করে নিজস্ব মুদ্রা ইউয়ানের মাধ্যমে ইরান থেকে তেল কেনার প্রস্তাব দিয়েছিল চিন। পশ্চিমী দুনিয়ার আর্থিক নিষেধাজ্ঞার জেরে প্রবল সঙ্কটে থাকা মাহমুদ আহমদিনেজাদ সরকার সেই প্রস্তাব মেনে নিয়েছে। তেহরানের তরফে জানানো হয়েছে, ইউয়ানের মাধ্যমেই আমদানিকৃত অপরিশোধিত তেলের দাম পরিশোধ করবে চিন।

সাধারণত বিশ্ববাজারে তেলের মূল্য পরিশোধে মূলত মার্কিন ডলারের ব্যবহার হয়ে থাকে। ক্ষেত্রবিশেষে ইউরো ব্যবহারেরও প্রচলন রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি ইরানের ওপর বাণিজ্যিক অবরোধ আরোপ করেছে ওবামা সরকার। একই পথ নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও। এর ফলে ডলার এবং ইউরো`তে লেনদেন করতে যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ইরান। আর এই সুযোগে পশ্চিম এশিয়ার তেলসমৃদ্ধ রাষ্ট্রটির সঙ্গে নতুনভাবে বাণিজ্যিক সম্পর্কের রূপরেখা স্থির করতে উদ্যোগী হয়েছে চিন। এ ব্যাপারে ওয়াশিংটন ও ইউরোপীয় দুনিয়ার নিষেধাজ্ঞাকে কার্যত আমলই দিচ্ছেন না চেয়ারম্যান মাও`য়ের উত্তরসূরিরা।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ রেজা ফায়াদ জানিয়েছেন, বিশ্বে ইরানের অপরিশোধিত তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চিন। চিনে তেল রপ্তানি থেকে প্রাপ্ত অর্থের বিনিময়ে ইরান আন্তর্জাতিক বাজার থেকে যে ধরণের পণ্য ও পরিষেবা ক্রয় করে থাকে, ইউয়ানের মাধ্যমে দাম মেটানোর পদ্ধতি চালু হলে চিন থেকেই সেই সব পণ্য ও পরিষেবা আমদানি করা হবে। এতে তেহরান-বেজিং বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলেও দাবি করেন তিনি।

.