বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কের জেরে ইস্তফা সিআইএ প্রধানের
স্যান্ডি, সদ্য শেষ হওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, স্যান্ডি পরবর্তী প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে দূরে সরিয়ে রেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখন নতুন চাঞ্চল্য। শুক্রবার বিবাহবহির্ভুত সম্পর্কে জড়িয়ে পরার দায় স্বীকার করে নিয়ে পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সিআইএ প্রধান ডেভিড পেট্রাইয়াস। সিআইএ কার্যালয়ে একটি চিঠি দিয়ে তিনি জানিয়েছেন গত বৃহস্পতিবার তিনি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছে গিয়ে তাঁর ইস্তফা পত্র জমা দিয়ে এসেছেন। প্রেসিডেন্ট তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করেছেন।
চিঠিতে তিনি আরও জানিয়েছেন `` ৩৭ বছর বিবাহিত জীবনযাপন করার পর আমি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছি। এই অপরাধ ক্ষমাহীন। একজন স্বামী এবং আমদের মত বিশাল এই ওর্গানাইজেশনের প্রধান হিসাবে এরকমের ব্যবহার একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাই আমি আমার পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলাম।``
যাঁর সঙ্গে সম্পর্কের জেরে পেট্রাইয়াস এরকম একটা সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলেন সেই পলা ব্রডওয়েলের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত কোন যোগাযোগ করা যায়নি। ব্রডওয়েল পেট্রাইয়াসের আত্মজীবনী লিখেছিলেন।
মাত্র ১৪ মাস আগে সিআইএ-র দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন পেট্রাইয়াস। তাঁর আগে তিনি আর্মিতে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছেন বহু বছর। ডিরেক্টর হিসাবে তাঁর কাজ প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছে সব মহলেরই। প্রসঙ্গত ওবামার বিরুদ্ধে রমনির সঙ্গেই যে সমস্ত রিপাবলিকানদের নাম কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছিল তাঁদের মধ্যে পেট্রাইয়াস অন্যতম ছিলেন। এর পরেই কিন্তু তাঁকে তড়িঘড়ি সিআইএ প্রধান করা হয়। ১৪ মাসের সিআইএ কেরিয়ারে তাঁর বিরুদ্ধে কেউই কোন্দিন কোনরকম অনৈতিক বা সংগঠন বহির্ভুত কাজের অভিযোগ আনতে পারেননি। কিন্তু লিবিয়ার বেনজাঘিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হত্যা তাঁর আমলেই ঘটেছিল। তবে আমেরিকান সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে পেট্রাইয়াসের ইস্তফার সঙ্গে বেনজাঘির ঘটনার কোন সম্পর্ক নেই।
পেট্রিইয়াসের নাটকীয়, আকস্মিক ইস্তফার পর মার্কিন প্রতিরক্ষা কিছুটা হলেও বেকায়দায়। মাইকেল মরেল আপাতত ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর হিসাবে সিআইএর ভার গ্রহণ করেছেন। সিআইএর পরবর্তী ডিরেক্টর হওয়ার সব থেকে বেশি সম্ভাবনা তাঁরই।