পরমাণু `সাফল্য` পেয়েই তেল নিয়ে `কড়া` তেহরান
রাষ্ট্রপুঞ্জ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যাবতীয় নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিজেদের পরমাণু কর্মসূচিকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেল ইরান। রাজধানী তেহরানের একটি পরমাণু চুল্লীতে জ্বালানী রড প্রতিস্থাপন করে এই কর্মযজ্ঞের সূচনা করলেন প্রেসিডেন্ট মেহমুদ আহমেদিনেজাদ।
রাষ্ট্রপুঞ্জ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যাবতীয় নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিজেদের পরমাণু কর্মসূচিকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেল ইরান। রাজধানী তেহরানের একটি পরমাণু চুল্লিতে জ্বালানী রড প্রতিস্থাপন করে এই কর্মযজ্ঞের সূচনা করলেন প্রেসিডেন্ট মেহমুদ আহমেদিনেজাদ। এখানেই শেষ নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ছ`টি দেশকে তেল সরবরাহের ক্ষেত্রেও এবার কাটছাঁট করা হবে জানিয়েছেন ইরানের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী।
বুধবার তেহেরানের একটি পরমাণু প্রকল্পে চুল্লিতে জ্বালানি রড ভরে কর্মকাণ্ডের সূচনা করতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট আহমেদিনেজাদ বলেন, ইরানি বিজ্ঞানীরা কার্বন তন্তুতে তৈরি উন্নত মানের চতুর্থ প্রজন্মের সেন্ট্রিফিউজ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। এর ফলে দ্রুত ইউরেনিয়াম বিশুদ্ধিকরণের কাজ সম্পন্ন করা যাবে এবং কম বর্জ্য উত্পন্ন হবে। গোটা বিষয়টি সরাসরি সম্প্রচারিত হয় ইরানের সরকারি নিউজ চ্যানেলেও।
পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসাবে নিজেদের তুলে ধরতে বরাবরই সক্রিয় থেকেছে ইরান। দেশের ২০ শতাংশ ইউরেনিয়াম মজুত করা হচ্ছে ক্যানসারের ওষুধ তৈরির জন্য। এটাই ছিল ইরানের যুক্তি। অন্যদিকে পাশ্চাত্য দেশগুলির আশঙ্কা, পরমাণু অস্ত্র তৈরির উদ্দেশ্যেই যাবতীয় পরীক্ষা-নিরিক্ষা চালাচ্ছে ইরান। এমনকী রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধিদের দেশে ঢুকতে না দেওয়ার ব্যাপারেও অনড় থেকেছে বিশ্বের অন্যতম বড় তেল উত্পাদনকারী এই রাষ্ট্র। রাষ্ট্রপুঞ্জ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞাকে উড়িয়ে দিয়ে বুধবার ইরানের এই কর্মসূচি নিয়ে স্বভাবতই সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
তবে এখানেই থেমে থাকেনি তেহরান। এদিন আরও বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ইরানের পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী রস্তাম কাসেমি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ছ`টি দেশ ফ্রান্স, ইতালি, গ্রিস, নেদারল্যান্ড , পর্তুগাল ও স্পেনকে তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে কাটছাঁট করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্বজুড়ে তেলের দাম বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর সেক্ষেত্রে বিশ্ব অর্থনীতি কিছুটা হলেও ধাক্কা খাবে বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।