Pakistan: অরাজকতা, না সংকট? ১ কিলো আটার দাম ৩২০ টাকা...
Pakistan: কুড়ি কিলো আটার দাম ৩২০০ টাকা! কিলো প্রতি ৩২০ টাকা! অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়া পাকিস্তানে এখন এই অগ্নিমূল্যেই বিকোচ্ছে আটা, কিনতে বাধ্য হচ্ছেন করাচির সাধারণ মানুষ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বর্তমানে বিশ্বের 'সবচেয়ে দামি' আটা বিক্রি হচ্ছে করাচিতে। 'পাকিস্তান ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিক্স'-এর একটি রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। কুড়ি কিলো আটার দাম ৩২০০ টাকা! অর্থাৎ, কিলো প্রতি ৩২০ টাকা। অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়া পাকিস্তানে এখন এই অগ্নিমূল্যেই বিকোচ্ছে আটা, কিনতে বাধ্যও হচ্ছেন করাচির সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: Pakistan: পাকিস্তানে ধ্বংস করা হল হিন্দুমন্দির, কোনওটা বুলডোজারে, কোনওটা রকেট হামলায়...
করাচিতে আটার দাম হু হু করে বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি সেখানে আটার দাম কেজি প্রতি ১০ টাকা করে আরও বেড়েছে। পাকিস্তানের বাকি শহরগুলিতেও আটার দাম করাচির মতোই আকাশছোঁয়া। ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিন্ডি, শিয়ালকোট, মুলতান-- সর্বত্র আটার দামের এক ছবি। তবে শুধু আটা নয়, আটার পাশাপাশি, চিনির দামও বেড়েছে। তা নিয়েও নতুন করে দুশ্চিন্তা দানা বাঁধছে পাক জনগণের মাথায়।
পাকিস্তানে অর্থনৈতিক সংকট নতুন নয়। বহুদিন ধরেই সেখানে এ ধরনের অচলাবস্থা চলছে। পাকিস্তান দীর্ঘ দিন ধরে অর্থনৈতিক টানাপড়েনে জর্জরিত। তারা বৈদেশিক ঋণ চেয়েছে। সেই ঋণ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট দেশ নতুন করে ভেবেছে। ফলে পাকিস্তানের সংকট বন্ধ হয়নি। আর পাকিস্তানের মাথায় ক্রমাগত চাপছে ঋণের পাহাড়। পাকিস্তানে বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার তলানিতে। বিদেশি মুদ্রার খরচে লাগাম টানতে পাকিস্তান আমদানি প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। যার প্রভাব সরাসরি পড়ছে দেশের বাজারে। আর সেই প্রভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে। অগ্নিমূল্যের জেরে পাক জনগণের দৈনন্দিন জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে।
আরও পড়ুন: Alaska: ভয়ংকর ভূমিকম্প! বিস্তীর্ণ উপকূলীয় অঞ্চলে জারি সুনামি সতর্কতা...
গত বছর পাকিস্তানের জোট সরকার দেশের আর্থিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি সম্পত্তি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বিশ্ব ব্য়াঙ্কের দেনা মেটানোর জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল পাক সরকার। সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ। ফলে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে পাকিস্তানের। বিশ্বব্যাঙ্কের কাছ থেকে ৬.৫ বিলিয়ন ডলার ধার নিয়েছিল পাকিস্তান। এর মধ্যে বিদ্যুৎ বাঁচাতে নতুন ফরমান জারি করেছিল সরকার। ঘোষণা করা হয়েছিল দেশের সব বাজার বন্ধ করতে হবে রাত আটটার মধ্যে। জানিয়েছিলেন দেশের মন্ত্রী আহসান ইকবাল। রাত আটটার মধ্যে দেশের সব দোকান, ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হবে। এই ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে বছরে ১০০ কোটি ডলার বাঁচবে বলে বলা হয়েছিল।