ইরানে ধর্মীয় নেতা খোমেইনির পৈতৃক বাড়িতে আগুন লাগাল একদল বিক্ষোভকারী! কেন?
Ayatollah Khomeini's Ancestral Home: ১৯৭৯ সালে ইরানে যে ইসলামি বিপ্লব হয় তাতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আয়াতুল্লাহ খোমেইনি। যে-বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে, আয়াতুল্লাহ খোমেইনির জন্ম ওই বাড়িতেই। বাড়িটি এখন জাদুঘর। সেখানে খোমেইনির জীবনের নানা স্মৃতি সংরক্ষিত।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইরানের ইসলামি বিপ্লবের নেতা ও ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিষ্ঠাতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেইনির পৈতৃক বাড়িতে আগুন দিয়েছেন দেশটির সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়া ছবি ও ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, খোমেইন শহরে আয়াতুল্লা খোমেইনির পৈতৃক বাড়ির একটি অংশ জ্বলছে।
খোমেইন কাউন্টি প্রেস অফিস দাবি করেছে, সেখানে কোনো হামলা হয়নি। আবার ইরানের আধা সরকারি সংবাদ সংস্থা বলেছে-- বাড়িটির বাইরে কয়েকজন মানুষ সমবেত হন। পরে বাড়ির একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। ইরানের মহান বিপ্লবের নেতৃত্ব দেওয়া আয়াতুল্লাহ খোমেইনির বাড়ি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত।
আরও পড়ুন: জিনপিংয়ের মুখোমুখি কমলা হ্যারিস! বৈঠকে দুই দেশ পরস্পরকে কী বার্তা দিল?
আয়াতুল্লাহ খোমেইনির জন্ম ওই বাড়িতে বলেই জানা যায়। বাড়িটি অবশ্য এখন জাদুঘর হিসেবেই ব্যবহৃত হচ্ছে। সেখানে খোমেইনির জীবনের নানা স্মৃতি সংরক্ষিত। ১৯৭৯ সালে ইরানে যে ইসলামি বিপ্লব হয়, তাতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আয়াতুল্লাহ খোমেইনি। ওই বিপ্লবের মাধ্যমেই ইরানের তৎকালীন নেতা শাহ মহম্মদ রেজা পাহলভি ক্ষমতাচ্যুত হন। রেজা পাহলভি পশ্চিমপন্থী নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা লাভ করে খোমেইনি ইসলামি নিয়মে রাষ্ট্র পরিচালনা শুরু করেন। ১৯৭৯ সালে তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হন। ইরানের ইতিহাসে এই ধরনের নেতা তিনিই প্রথম। ১৯৮৯ সালে মৃত্যু পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর দিন প্রতি বছর ইরানে শোক দিবস পালিত হয়।
ইরানে নীতিপুলিসের হেফাজতে থাকা অবস্থায় মাশা আমিনি নামের ২২ বছরের এক তরুণীর মৃত্যুর পর দুমাস ধরে সেদেশে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীরা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির উত্তরসূরি, ইরানের বর্তমান সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলি খামেনি এবং তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।