বেকারত্ব বৃদ্ধির ধাক্কায় বেহাল গ্রিস
ক্ষমতার পালাবদলের পরও আর্থিক স্থিতাবস্থা ফেরার লক্ষণ নেই গ্রিসে। এই প্রথম সে দেশে চাকুরিজীবী মানুষের সংখ্যাকে ছাপিয়ে গেল বেকারত্বের হার।
ক্ষমতার পালাবদলের পরও আর্থিক স্থিতাবস্থা ফেরার লক্ষণ নেই গ্রিসে। এই প্রথম সে দেশে চাকুরিজীবী মানুষের সংখ্যাকে ছাপিয়ে গেল বেকারত্বের হার। এলস্ট্যাটের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে গ্রিসে বেকারত্বের হার ২০ ছাড়িয়ে ২১ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। যা ইউরোজোনের অন্তর্গত অন্যান্য রাষ্ট্রগুলির দ্বিগুন।
সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পরই গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখান সাধারণ মানুষ। ২০১০ সালে গ্রিসে বেকারত্বের হার ছিল ১২.৫ শতাংশ। সেটাই পরের বছর ১৯ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। এই পরিস্থিতির জন্য দেশের বেহাল অর্থনীতিকেই দায়ী করেছেন প্রধানমন্ত্রী পাপাডেমস। উল্লেখ্যে, প্রবল আর্থিক মন্দা ও ছাঁটাইয়ের জেরে জনবিক্ষোভের মুখে পড়ে গত বছর নভেম্বর মাসে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী জর্জ এ পাপানড্রেউ। ইউরোপীয়ন সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের প্রাক্তন কর্তা লুকাস পাপাডেমস তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন।