পূর্ব মেদিনীপুরে দুষ্কৃতী তাণ্ডব, রাতভর রাস্তাতেই পড়ে রইলেন আহত ব্যবসায়ী
পূর্ব মেদিনীপুরে ফের দুষ্কৃতী তাণ্ডব। পাঁশকুড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে ব্যবসায়ীকে অপরহণ করে এনে লুঠ করা হল সোনা। এরপর ব্যবসায়ীকে গুলি করে রাস্তায় ফেলে রেখে উধাও হল দুষ্কৃতীরা। রাতভর রাস্তাতেই পড়ে রইলেন আহত ব্যবসায়ী।
ওয়েব ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরে ফের দুষ্কৃতী তাণ্ডব। পাঁশকুড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে ব্যবসায়ীকে অপরহণ করে এনে লুঠ করা হল সোনা। এরপর ব্যবসায়ীকে গুলি করে রাস্তায় ফেলে রেখে উধাও হল দুষ্কৃতীরা। রাতভর রাস্তাতেই পড়ে রইলেন আহত ব্যবসায়ী।
পূর্ব মেদিনীপুরে ছয় নম্বর জাতীয় সড়কে দুষ্কৃতীদের বেলাগাম তাণ্ডব। সকালে পাঁশকুড়ার কাছে জাতীয় সড়কের ধারে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় স্বর্ণ ব্যবসায়ী বিশ্বজিত্ পলমলকে। গুলিবিদ্ধ বিশ্বজিত্ কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়।
আরও পড়ুন বালুরঘাটে মদ-গাঁজা বিক্রির প্রতিবাদ করে প্রাণ খোয়ালেন প্রতিবাদী
আদি বাড়ি ঘটালের খড়ারে। ব্যবসা কটকে। কটকের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী বিশ্বজিত্ পলমল সোনা কিনতে প্রায় প্রতি মাসেই দাসপুরে আসেন। যান ঘাটালের বাড়িতেও। এবার কটক থেকে সরাসরি এসেছিলেন দাসপুরে। সোনা কিনে পাঁশকুড়া থেকে কটক ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। সেইমত রাত্রে পাঁশকুড়া বাসস্ট্যান্ডে পৌছান। অভিযোগ, অনুসরণ করে আসা দুষ্কৃতীরা বাসস্ট্যান্ড থেকে জোর করে গাড়িতে তুলে নেয় বিশ্বজিত্ পলমলকে। গাড়ির মধ্যেই কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে সোনা ভর্তি ব্যাগ। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। সেই সময় দুষ্কৃতীরা বন্দুকের বাট দিয়ে জোরালো আঘাত করে বিশ্বজিতের মাথায়। এরপর গাড়ি থেকে নামিয়ে গুলি করে সোনা ভর্তি ব্যগ নিয়ে চম্পট দেয়।
আরও পড়ুন দুর্গাপুর শুটআউটের ঘটনায় গ্রেফতার ৪
ব্যস্ত জাতীয় সড়কে গুরুতর জখম অবস্থায় রাতভর পড়ে ছিলেন বিশ্বজিত। পরে পুলিস উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় তাঁকে। খবর পেয়ে ঘাটাল থেকে আসেন বিশ্বজিতের আত্মীয়রা। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান ব্যবসায়িক কারণেই হামলা হয়েছে বিশ্বজিতের ওপর। এই ঘটনায় উঠে এসেছে সঞ্জয় নামে এক ব্যক্তির নাম। তিনি বিশ্বজিতের সঙ্গেই ব্যবসা করেন।