শিশু পাচার চক্রের মূল পাণ্ডা বিমল অধিকারীর গতিবিধি সম্পর্কে কী বলছেন প্রতিবেশীরা?

ওয়েব ডেস্ক: নামেই বিমল। তবে দোস্তিপুরের হোমের সেক্রেটারি শিশু পাচার চক্রের মূল পাণ্ডা বিমল অধিকারীর কাজকর্মে কোনও দিনই স্বচ্ছতা ছিল না বলে দাবি তাঁরা প্রতিবেশীদের। ফ্ল্যাট থেকে ঝাঁ চকচকে বাড়ি। ধুমকেতুর মতো উত্থান। বিমল অধিকারীকে নিয়ে এমনটাই বলছেন বাঙুর অ্যাভিনিউতে তার প্রতিবেশীরা।

বছর ১৫ আগে মেদিনীপুর থেকে বাঙুর অ্যাভিনিউ এ ব্লকে আসে বিমল অধিকারী। প্রথমে একটি ফ্ল্যাট কেনে। পরে ওই পাড়ারই একটি বাড়ি কিনে নতুন করে তৈরি করায়। রয়েছে আরও দুটি ফ্ল্যাট। তবে এত টাকার মালিক বিমলের পেশা সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু জানতেন না প্রতিবেশীরা।

মাঝে মধ্যেই স্থানীয় দোকান থেকে বিস্কুটের প্যাকিং বাক্স নিত বিমল। বাড়িতে শিশু নেই তাও বিভিন্ন সময় বেবিফুডও কিনতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। বুধবার বেশ কিছু বাক্স গাড়ি করে নিয়ে যায় বিমল। বাড়ি করলেও ফ্ল্যাট ছাড়েনি বিমল অধিকারী। রাতের অন্ধকারে মাঝে মধ্যেই নাকি সেখানে আসত সে। সঙ্গে থাকত খাবার-দাবার। নিজের পরিবার নিয়েও প্রতিবেশীদের নানারকম তথ্য দিয়েছে বিমল অধিকারী। বলেছে ছেলে ডাক্তার। তবে কিসের ডাক্তার? সেখানেই প্রশ্ন।

বিমল বলত,  তাঁর বড় মেয়ে ডাক্তার। কাউকে আবার বলেছে, সেই মেয়ে নার্সের কাজ করে। পরে বিমল বিয়ে করে শ্যামলী নামে আরেক মহিলাকে। সেই মহিলার মেয়ে কলকাতার একটি নামী স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। বিমলের মেয়ে ২৪ ঘণ্টাকে জানান, বাবার কাজ কর্ম নিয়ে তারা কিছুই জানতেন না। বাঙুর এ ব্লকের ২৫৬ নম্বর বাড়ির বাসিন্দাদের গতিবিধি পুরোটাই রহস্যে মোড়া। প্রতিবেশীদের দাবি, শনিবারও বিধানগর থেকে এক দম্পতি শিশু দত্তক নেওয়ার খোঁজে ওই পাড়ায় আসেন। জোকা থেকে বিমলের খোঁজ পেয়েছে বলে জানান তাঁরা।