বারাসতে বাড়তে থাকা গুণ্ডারাজে রাশ টানতে ব্যর্থ প্রশাসন

একের পর এক অপরাধের ঘটনায় সামনের সারিতে বারবার উঠে আসছে উত্তর ২৪ পরগণার বারাসতের নাম। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাতে তো বটেই, দিনের বেলাতেও দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যে  অনেক এলাকা ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। এর জেরে ছড়াচ্ছে আতঙ্ক। একনজরে দেখে নেওয়া যাক বারাসতের অপারধ চিত্র।

Updated By: Sep 4, 2012, 06:16 PM IST

একের পর এক অপরাধের ঘটনায় সামনের সারিতে বারবার উঠে আসছে উত্তর ২৪ পরগণার বারাসতের নাম। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাতে তো বটেই, দিনের বেলাতেও দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যে  অনেক এলাকা ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। এর জেরে ছড়াচ্ছে আতঙ্ক। একনজরে দেখে নেওয়া যাক বারাসতের অপারধ চিত্র।
 
১৪ফেব্রুয়ারি ২০১১, দিদির সম্মান বাঁচাতে গিয়ে জেলাশাসকের বাংলোর সামনেই দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রাজীব দাস। এর কয়েকমাস পরেই ২ জুলাই বারাসত স্টেশনের কাছ থেকে এক পুলিসকর্মীর স্ত্রীর গলার হার ছিনতাই করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। ২ অগাস্ট ২০১১, পুলিসকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। পরে বাইকে চেপে পালিয়ে যায় তাঁরা। 
 
২৬ এপ্রিল ২০১২, ১১ নম্বর রেলগেটের কাছ থেকে অপহৃত হয় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী। আড়াই লক্ষ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে ছাড়া হয় তাঁকে। ২৬ জুলাই ২০১২, স্টেশনের কাছে এক ছাত্রীকে কটুক্তি করে মদ্যপ যুবকেরা। প্রতিবাদ করলে ছাত্রী এবং তাঁর বাবাকে মারধর করে দুষ্কৃতীরা। ২০ অগাস্ট ২০১২, কাজিপাড়ার সিঁথিবড়া এলাকায় এক নবম শ্রেণির ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে কয়েকজন যুবক। প্রতিবাদ করায় তাঁকে মারধর করা হয়। সবশেষে ৩ সেপ্টেম্বর ২০১২, পুর্ব ইছাপুরের কদম্বগাছি এলাকায় মদ্যপ যুবকদের অশালীন আচরণের প্রতিবাদ করায় প্রাণ দিতে হল বছর ষাটের চিকিত্সক বিকাশ মল্লিককে।
  
বাড়তে থাকা অপরাধমূলক ঘটনার জেরে আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। অপরাধ দমনে পুলিস-প্রশাসন যথেষ্ট ততপর নয় বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
 
  
   

.