উত্সবের মরসুমের মুখেই শিল্পে অন্ধকার, ফলতায় বন্ধ ছটি কারখানা
উত্সবের মরসুমের মুখেই শিল্পে অন্ধকার। ফলতা বাণিজ্য কেন্দ্রে একসঙ্গে বন্ধ হয়ে গেল ছটি কারখানা। কাজ হারালেন প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক। অভিযোগ, লেবার কমিশন নির্ধারিত মজুরি দেওয়া হচ্ছিল না শ্রমিকদের। চাপে পড়ে শেষপর্যন্ত কারখানাতেই তালা ঝুলিয়ে দিল কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকরা অবশ্য চাইছেন, যে কোনও মূল্যে কারখানা চলুক।
ওয়েব ডেস্ক: উত্সবের মরসুমের মুখেই শিল্পে অন্ধকার। ফলতা বাণিজ্য কেন্দ্রে একসঙ্গে বন্ধ হয়ে গেল ছটি কারখানা। কাজ হারালেন প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক। অভিযোগ, লেবার কমিশন নির্ধারিত মজুরি দেওয়া হচ্ছিল না শ্রমিকদের। চাপে পড়ে শেষপর্যন্ত কারখানাতেই তালা ঝুলিয়ে দিল কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকরা অবশ্য চাইছেন, যে কোনও মূল্যে কারখানা চলুক।
সেও ছিল এক পুজোর মরসুম। অন্ধকার নেমেছিল সিঙ্গুরে। রাজ্য ছাড়ে টাটার ন্যানো প্রকল্প। শিল্পায়নের স্বপ্নে সেই ধাক্কা, কাটিয়ে ওঠা যায়নি আজও।
...................
শিল্পে রাজ্যকে প্রথম সারিতে দেখতে, লগ্নি টানতে দেশে-বিদেশে ছুটছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এর মধ্যেই দুঃসংবাদ। সামনে ইদ। এরপর দুর্গাপুজো। তার ঠিক আগেই তালা পড়ল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ফলতা বাণিজ্য কেন্দ্রের ছটি কারখানায়।
বিতর্কটা শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে। লেবার কমিশনের নিয়ম বলছে, একজন শ্রমিকের দৈনিক প্রাপ্য মজুরি ২৫১ টাকা। কিন্তু এই কারখানাগুলিতে শ্রমিকরা পাচ্ছিলেন রোজ ১৮৮ টাকা করে।
সরকার নির্ধারিত মজুরি দেওয়ার জন্য চাপ বাড়ছিল কারখানা কর্তৃপক্ষের ওপর। এতেই বিপত্তি। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, প্লাস্টিক কারখানাগুলিতে লাভ তেমন হয় না। এখন বাড়তি মজুরি দেওয়া সম্ভব নয়। তাই অসুবিধের কারণ দেখিয়ে কারখানা বন্ধের নোটিস ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে গেটে। দুইয়ের মাঝে বলি শ্রমিকরা। তাঁদের একমাত্র দাবি, যে কোনও মূল্যে কারখানা চালু থাকুক।
কাজ হারানো শ্রমিকরা এদিন বাণিজ্য কেন্দ্রের মূল গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। এর জেরে বাকি কারখানায় কাজও লাটে ওঠে। পরে পুলিস এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
ক্ষুব্ধ শ্রমিকদের প্রশ্ন, পুজোর মরসুমে কারখানা বন্ধ হওয়ায় কীভাবে সংসার চলবে? কে নেবে এর দায়? বিষয়টি নিয়ে শ্রমিক-মালিক দুপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক। তবে তার কতটা সুফল মিলবে, উদ্বেগে শ্রমিকরা।