রুগ্ন শিল্পের তকমা দিয়ে হলদিয়া পেট্রোকম যেতে পারে বিআইএফআর-এ

রুগ্ন শিল্পের তকমা নিয়ে হলদিয়া পেট্রোকেম কি এ বার বিআইএফআরে যাচ্ছে ? সংস্থার আর্থিক রিপোর্টে সেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পেট্রোকেমের মোট সম্পত্তির চেয়ে বেশি হয়ে গেছে দায়ের পরিমাণ। যদিও, শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, এই সমস্যা মিটে যাবে। সরকারের হাতে থাকা সংস্থার শেয়ার নিলাম করা গেলেই নতুন বিনিয়োগ আসবে বলে আশা করছেন তিনি। বছরের পর বছর লোকসানে চলতে থাকায় ধুঁকছে হলদিয়া পেট্রোকেম। ব্যাঙ্কগুলিও আর ঋণ দিতে চাইছে না।

Updated By: Sep 24, 2013, 10:38 PM IST

রুগ্ন শিল্পের তকমা নিয়ে হলদিয়া পেট্রোকেম কি এ বার বিআইএফআরে যাচ্ছে ? সংস্থার আর্থিক রিপোর্টে সেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পেট্রোকেমের মোট সম্পত্তির চেয়ে বেশি হয়ে গেছে দায়ের পরিমাণ। যদিও, শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি,
এই সমস্যা মিটে যাবে। সরকারের হাতে থাকা সংস্থার শেয়ার নিলাম করা গেলেই নতুন বিনিয়োগ আসবে বলে আশা করছেন তিনি। বছরের পর বছর লোকসানে চলতে থাকায় ধুঁকছে
হলদিয়া পেট্রোকেম। ব্যাঙ্কগুলিও আর ঋণ দিতে চাইছে না।
শেষ দুটি আর্থিক বছরে সংস্থার ৮৫০ এবং ৯৫০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। সংস্থার বার্ষিক সাধারণ সভায় পেশ হওয়া আর্থিক বিবরণী বলছে, গত আর্থিক বছরের শেষে হলদিয়া পেট্রোকেমের সম্পত্তির
পরিমাণ ছিল ৩০০ কোটি টাকা। চলতি আর্থিক বছরের প্রথম পাঁচ মাসে লোকসান হয়েছে ৬০০ কোটি টাকা। যার মানে দাঁড়াচ্ছে, বহু আশা নিয়ে গড়ে ওঠা এই পেট্রো রসায়ন সংস্থার সম্পদের পরিমাণ এখন ঋণাত্মক।
 
আর এই জায়গা থেকেই তৈরি হয়েছে আশঙ্কা। এ বার কি তবে বিআইএফআরে চলে যাবে হলদিয়া পেট্রোকেম ? যদিও, বার্ষিক সাধারণ সভায় কবে থেকে বিআইএফআরে যাবে পেট্রোকেম, আর্থিক প্যাকেজই বা কী হতে পারে সে সব নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। HPCL-এর চেয়ারম্যান তথা শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিআইএফআরে যাওয়ার আশঙ্কাকে পাত্তা দিতে নারাজ।
 WBIDC-র হাতে থাকা পেট্রোকেমের শেয়ার নিলাম করে সংস্থা পরিচালনার দায় থেকে অব্যাহতি পেতে চাইছে রাজ্য সরকার। সরকারের যুক্তি, নিলামে যাঁরা শেয়ার কিনবেন, তাঁদের হাত ধরেই আসবে নতুন বিনিয়োগ। ইন্ডিয়ান অয়েল সহ একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ও রিলায়েন্সের মতো বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা রাজ্যের হাতে থাকা শেয়ার কিনতে আগ্রহও প্রকাশ করেছে। হলদিয়া পেট্রোকেম বাঁচাতে এখন শেয়ার নিলামের দিকেই তাকিয়ে রাজ্য সরকার।
 
WBIDC-র হাতে থাকা শেয়ারের প্রকৃত মালিকানা কার তা নিয়ে চ্যাটার্জি গোষ্ঠীর সঙ্গে সরকারের বিরোধ তো আছেই। এরপর, সংস্থার সম্পত্তির পরিমাণ ঋণাত্মক হয়ে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠছে, রুগ্ন সংস্থার শেয়ার কিনতে রিলায়েন্সের মতো বিনিয়োগকারীরা বাস্তবে কতটা হাত উপুড় করবে ? শেয়ার বেচে কতটা লাভ হবে সরকারের ? আগে দেখা গেছে রিলায়েন্স, রুগ্ন 
সংস্থা IPCL-এ টাকা ঢাললেও কোনওদিনই সেই সংস্থা খোলেনি। ফলে, হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসের  ভবিষ্যত নিয়ে আশঙ্কা থাকছেই। 
 

.