মঙ্গলাহাট নিয়ে সমাধানসূত্র মিলল না
মঙ্গলাহাট নিয়ে তৈরি হওয়া অচলাবস্থা রয়েই গেল। সরকার এবং ব্যবসায়ীরা নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকায় সমস্যা মেটার আশু সম্ভাবনাও নেই।
মঙ্গলাহাট নিয়ে তৈরি হওয়া অচলাবস্থা রয়েই গেল। সরকার এবং ব্যবসায়ীরা নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকায় সমস্যা মেটার আশু সম্ভাবনাও নেই। বঙ্কিম সেতুর ওপর মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা বসতে পারবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। অন্যদিকে বঙ্কিম সেতুর ওপর বসার দাবিতে অনড় মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা। শ্রমমন্ত্রী, কৃষি বিপণন মন্ত্রী এবং হাওড়ার পুলিস কমিশনারের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বৈঠক হলেও সমাধানসূত্র মেলেনি।
সমস্যার সূত্রপাত গত মঙ্গলবার। যানজটের সমস্যা মেটাতে গত মঙ্গলবার বঙ্কিম সেতুর ওপর থেকে ব্যবসায়ীদের তুলে দেয় পুলিস। কিন্তু সপ্তাহখানেক পেরোলেও ব্যবসায়ীদের রুটি-রুজির বিকল্প সংস্থান হয়নি। নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে মঙ্গলবার মহাকরণে শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু এবং কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা। কিন্তু সরকার আগের সিদ্ধান্তেই অনড়। বৈঠকের পর কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায় স্পষ্ট করে দেন, বঙ্কিম সেতুর উপর বসতে দেওয়া হবে না ব্যবসায়ীদের।
জট খোলার আশায় পুনর্বাসনের দাবি নিয়ে হাওড়ার পুলিস কমিশনার অজয় রানাডের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীদের একাংশ। রাজ্য সরকারেরপ্রস্তাব মেনে বিকল্প জায়গায় বসা যে সম্ভব নয় তা জানিয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে বিকল্প জায়াগায় বসলে ক্রেতাই আসবে না। তাঁদের দাবি মানা না হলে,বঙ্কিম সেতু পেরিয়ে যে এলাকা মঙ্গলাহাট বলে পরিচিত সেই এলাকার ব্যবসায়ীদেরও উচ্ছেদ করার দাবি জানিয়েছেন বঙ্কিম সেতুর ওপর বসা ব্যবসায়ীরা। নাহলে তাদের পাল্টা দাবি তাদেরও সেতুর উপরেই বসতে দেওয়া হোক। পুর্নবাসনের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই রাস্তায় নেমেছিলেন মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা। প্রথমে মঙ্গলাহাটে বিক্ষোভ দেখান ব্যবসায়ীরা। সেই বিক্ষোভের রেশ পৌঁছয় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি পর্যন্ত।
পুর্নবাসনের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান হাওড়ার মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীদের একাংশ।