কাটোয়ায় বড়সড় বিস্ফোরণ, ধূলিসাত্ হয়ে গেল একটি ক্লাব
সাতসকালেই কাটোয়ায় বড়সড় বিস্ফোরণ। ধূলিসাত্ হয়ে গেল একটি ক্লাব। ভেঙে পড়ল কংক্রিটের ছাদ। ক্লাবের সামনে থেকে উদ্ধার হল দুটিন ভর্তি সকেট বোমা। ঘটনা উস্কে দিল খাগড়াগড়ের স্মৃতি। কী কারণে মজুত করা হয় বিস্ফোরক, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খোঁজখবর নিয়েছে NIA। ঘটনায় চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ওয়েব ডেস্ক: সাতসকালেই কাটোয়ায় বড়সড় বিস্ফোরণ। ধূলিসাত্ হয়ে গেল একটি ক্লাব। ভেঙে পড়ল কংক্রিটের ছাদ। ক্লাবের সামনে থেকে উদ্ধার হল দুটিন ভর্তি সকেট বোমা। ঘটনা উস্কে দিল খাগড়াগড়ের স্মৃতি। কী কারণে মজুত করা হয় বিস্ফোরক, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খোঁজখবর নিয়েছে NIA। ঘটনায় চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটা-ছটা। সবে তখন আলো ফুটেছে। আচমকা জোড়াল শব্দে কেঁপে উঠল কাটোয়া দু নম্বর ব্লকের শ্রীবাটি এলাকা। বাসিন্দারা বেড়িয়ে দেখেন রাস্তার ধারে ক্লাবটি পুরোপুরি ধূলিসাত্। বিস্ফোরণের অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে ঢালাই করা কংক্রিটের ছাদও ভেঙে পড়ে। পঞ্চাশ মিটার দূরে ছিটকে পড়ে ক্লাবের জানলা, দরজা। ঘটনাস্থলেই পড়ে রয়েছেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, লালু শেখ নামে ওই বাসিন্দা প্রতিদিনের মতো সোমবার প্রাতঃভ্রমণে বেরোন। ক্লাবের সামনে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তিনি। সে সময় বিস্ফোরণ। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ক্লাব। মৃত্যু হয় বৃদ্ধের।
আরও পড়ুন লজ্জা শুধু নারীর ভূষণ, পুরুষের ভূষণ তো নির্লজ্জ হওয়া!
ঘটনাস্থলে হাজির হয় SDPO কাটোয়ার নেতৃত্বে বিশাল পুলিসবাহিনী। হাজির হন জেলা পুলিসের উচ্চপদস্থ কর্তারাও। ক্লাবের সামনে কালভার্ট থেকে উদ্ধার হয় দুটি টিন। ওই টিনে রাখা ছিল বত্রিশটি সকেট বোমা। যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে পুলিস। সোমবার বিকেলে দুর্গাপুর থেকে ঘটনাস্থলে পৌছয় সিআইডির বম্ব স্কোয়াড। ঘটনাস্থলে নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। তবে অন্ধকার হয়ে যাওয়া বোমাগুলিকে নিষ্ক্রিয় করা যায়নি।
কাটোয়ার বিস্ফোরণ উস্কে দিয়েছে খাগড়াগড়ের স্মৃতি। বর্ধমানেরই খাগড়াগড়েও সকেট বোমা ফাটার পরই প্রথম নজরে আসে বারুদের স্তূপ। উদ্ধার হয় সকেট বোমাও। পরবর্তী সময়ে খাগড়াগড়কাণ্ডের তদন্তে কাটোয়ার মঙ্গলকোটের যোগও মেলে। এবার সেই কাটোয়াতেই বিস্ফোরণ। উদ্ধার সকেট বোমাও। খাগড়াগড়ের সঙ্গে কি তবে যোগ রয়েছে কাটোয়ার শ্রীবাটির?
আরও পড়ুন বিশ্বভারতী পাঠভাবনের ক্লাস থ্রির আবাসিক ছাত্রকে নৃশংস ভাবে মারধরের অভিযোগ
পুলিস কিন্তু উড়িয়ে দিচ্ছে না। NIA-ও উড়িয়ে দিচ্ছে না। বিস্ফোরণ নিয়ে ইতিমধ্যেই খোঁজখবর নিয়েছেন NIA-র অফিসারেরা। এ ঘটনার পর বেশ কিছু প্রশ্ন উঠছে। বিস্ফোরণের অভিঘাতই প্রমাণ করে শক্তিশালী বিস্ফোরক মজুত করা হয়েছিল। কেন বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক এখানে মজুত করা হল? কারা মজুত করল এই বিস্ফোরক? কী ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে যে আপাত ভাবে দেশি বোমার এমন অভিঘাত? কী ধরনের বিস্ফোরক মজুত ছিল, তা জানতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে CID।