মালদায় তৃণমূল নেতা খুনের মামলার সাক্ষীর মৃত্যুর ঘটনায়, খুনের অভিযোগে সরব পরিবার
মালদায় আগুনে পুড়ে তাপসী হালদারের মৃত্যুর ঘটনায়, খুনের অভিযোগে সরব পরিবার। তিন বছর আগে স্বামী ও দেওরের খুনের মামলায় মূল সাক্ষী ছিলেন তাপসী। খুনিরা মুক্ত ছিল। পুলিস হাত গুটিয়ে। অভিযোগ পরিবারের। আজ ২৪ ঘণ্টায় মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর সম্প্রচারের পর, শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত।
ওয়েব ডেস্ক: মালদায় আগুনে পুড়ে তাপসী হালদারের মৃত্যুর ঘটনায়, খুনের অভিযোগে সরব পরিবার। তিন বছর আগে স্বামী ও দেওরের খুনের মামলায় মূল সাক্ষী ছিলেন তাপসী। খুনিরা মুক্ত ছিল। পুলিস হাত গুটিয়ে। অভিযোগ পরিবারের। আজ ২৪ ঘণ্টায় মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর সম্প্রচারের পর, শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত।
আশঙ্কা তখনও ছিল। মনে ভয়-আতঙ্ক। আমাদের ক্যামেরার সামনে তা বলেওছিলেন মালদার বৈষ্ণবনগরের নিহত তৃণমূল নেতা স্বপন হালদারের স্ত্রী, তাপসী হালদার। বলেন পুলিসকেও। বারবার। কিন্তু কিছু হয়নি। তিন বছর আগে স্বামী-দেওর খুনের পর, অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে লড়াই শুরু করেন। শেষ করতে পারলেন না। গেল নিজের প্রাণটাও।
আরও পড়ুন অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় মৃত তৃণমূল নেতা খুনের মামলার মূল সাক্ষী
সোমবার ভোরে জমিতে যান তাপসী হালদার। সেখানেই সুনীল হালদার ও তার দলবল তাপসীকে ধরে, গায়ে আগুন দিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। তাঁর চিত্কারে লোক জড়ো হতে শুরু করতেই, পালিয়ে যায় সুনীল ও তাঁর সঙ্গীরা। শরীরের ৯০ শতাংশেরও বেশি পুড়ে গিয়েছিল। মালদা মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তাররা অনেক চেষ্টা করলেও বাঁচানো যায়নি তাপসী হালদারকে।
২০১৩-র ডিসেম্বরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরপরই খুন হন তৃণমূল নেতা স্বপন হালদার। এর ঠিক সাতদিন পর খুন হন স্বপন হালদারের ভাই সনাতন হালদারও। দুটি খুনের ক্ষেত্রেই এলাকার তত্কালীন কংগ্রেস নেতা সুনীল হালদার সহ ৭জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়। সেই খুনের মামলায় মূল সাক্ষী ছিলেন তাপসী হালদার। এবার তাঁরও মৃত্যু হল আগুনে পুড়ে।
২০১৩-এ তাপসীদেবীর স্বামী-দেওর খুনের পর একবারই গ্রেফতার হন অভিযুক্ত সুনীল হালদার। তবে কিছুদিনের মধ্যে জামিন পেয়ে যান তিনি। এরপরই সুনীল হালদার তৃণমূলে যোগ দেন। অভিযোগ, এর পর থেকে তদন্তে পুলিশি তদন্তে ঢিলেমি শুরু হয়। এই অভিযোগ বারবার করে গেছেন তাপসী হালদার। কিন্তু কিছু হয়নি। এই ঘটনার সঙ্গে শাসকদলের যোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন।
আরও পড়ুন হাতি ধরার অভিযানে অবশেষে সফল বাঁকুড়া বন দফতর
সুনীল হালদারের শাস্তির দাবিতে, হাইকোর্টেও মামলা করেন তাপসী হালদার। সে মামলা এখনও চলছে। এবার তাপসীদেবীর জন্যেও ন্যায় বিচারের দাবিতে চলবে লড়াই। সাফ কথা পরিবারের।