গঙ্গার ভাঙন রোধে নয়া উদ্যোগ নদিয়া জেলা প্রশাসনের
গঙ্গার ভাঙন রোধে নয়া পথে হাঁটছে নদিয়া জেলা প্রশাসন। পাড় বাঁধানো বা বাঁধ নয়, ভাঙন রোধে কাজ লাগানো হচ্ছে ভাটিভার চারা। আশ্চর্য লাগলেও এটাই সত্যিই, গুচ্ছমূল এই ঘাসচারা নদি ভাঙন অনেকটাই আটকে দিতে পারে। বিদেশে পরীক্ষামূলকভাবে সাফল্যের পর এবার নদিয়ার ভাঙন প্রবণ এলাকায ভাটিভার চারা লাগাচ্ছে প্রশাসন।
ওয়েব ডেস্ক: গঙ্গার ভাঙন রোধে নয়া পথে হাঁটছে নদিয়া জেলা প্রশাসন। পাড় বাঁধানো বা বাঁধ নয়, ভাঙন রোধে কাজ লাগানো হচ্ছে ভাটিভার চারা। আশ্চর্য লাগলেও এটাই সত্যিই, গুচ্ছমূল এই ঘাসচারা নদি ভাঙন অনেকটাই আটকে দিতে পারে। বিদেশে পরীক্ষামূলকভাবে সাফল্যের পর এবার নদিয়ার ভাঙন প্রবণ এলাকায ভাটিভার চারা লাগাচ্ছে প্রশাসন।
নদিয়া। রাজ্যের অন্যতম নদী ভাঙন প্রবণ জেলা। জেলার বুক চিরে বয়ে গেছে ভাগীরথী, মাথাভাঙা, চুর্নী, জলঙ্গি, ইচ্ছামতী। নদী তীরবর্তী এলাকা প্রায় ৭৪৪ কিলোমিটার। বিশেষত কালীগঞ্জ থেকে কল্যাণী পর্যন্ত গঙ্গার ভাঙন প্রতিবছর বাসিন্দাদের মাথা ব্যাথার কারণ। ফি বছর গঙ্গার ভাঙনে ক্ষতির মুখে পড়েন হাজার হাজার মানুষ।
ভাঙন রোধে কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে প্রশাসন। কিন্তু লাভের লাভ হয়নি কিছুই। দু এক বছর ভাঙন বন্ধ হলেও ফের যে কে সেই। স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে এবার অন্য পথে হাঁটছে প্রশাসন। ভাঙন রোধে নয়া দিশা দেখাচ্ছে ভাটিভার ঘাস।
পরীক্ষামূলকভাবে ভাটিভার চারা লাগনো শুরু হয় বছরখানেক আগে। গুচ্ছমূল গোত্রের এই চারাঘাস ভাঙন রোধে যথেষ্ট উপযোগী। পরীক্ষামূলকভাবে পায়রাডাঙা, চাকদার সরাটি ও নবদ্বীপে ঘাসের চাষ শুরু হয়। দেখা যায় ভাঙন প্রবণ এসব জায়গাতেও নদীর পাড় বিশেষ ভাঙেনি।
ভাটিভার চারার সাফল্যে উত্সাহী হয় প্রশাসন। মার্চে গঙ্গার পার বরাবর ১০০ কিলোমিটার এলাকায় ঘাস লাগানোর কাজ শুরু হয়ছে। ১০০দিনের কাজের আওতায় এনে নদিয়ার ৫০টি নার্সারিকে চারা রোপনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাতে একদিকে যেমন ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে তেমনই বেশকিছু শ্রমদিবস তৈরি করতে পারছে প্রশাসন। প্রচেষ্টা সফল হলে ধীরে ধীরে জেলার ৮৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সব এলাকাতেই ভাটিভার চারা রোপন করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।