মাখড়া যখন আশান্ত, পুলিস ব্যস্ত রাজনৈতিক নেতাদের রক্ষায়
একই পুলিসের ভিন্ন রূপ। নিরাপত্তার অভাবে যখন দলে দলে মানুষ মাখড়া ছাড়ছেন, পুলিস তখন ব্যস্ত বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের গ্রাম থেকে দূরে রাখতে। সরকারের দাবি, দায়িত্ব পালন করছে পুলিস। প্রশ্ন উঠছে, নেতাদের বেলায় ১৪৪ ধারা প্রয়োগের কড়াকড়ি। আর দুষ্কৃতী হামলার সময়ে মুখ ফিরিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে পুলিস? মাখড়াবাসীর নিরাপত্তার দায়িত্ব কি পুলিসের নয়?
মাস্কেটহাতে মাখড়া দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দুষ্কৃতীরা। পুড়ছে ঘরবাড়ি। মাস্কেটের গুলি কেড়ে নিয়েছে তৌসিফের প্রাণ। পুলিস তখন গ্রামের ঠিক বাইরে, দর্শকের ভূমিকায়। হামলার পরদিন সকালে মাখড়াজুড়ে শ্মশানের স্তব্ধতা। আতঙ্কে গ্রাম ছাড়ছেন মানুষ। গ্রামে দেখা নেই পুলিসের। মাঝেমধ্যে যখনই খাঁকি উর্দির দেখা মিলেছে নিরাপত্তার আর্জি নিয়ে ছুটে গেছেন মাখড়াবাসী।
একই পুলিস দারুণ তত্পর বুধবার। বিরোধীদের আটকাতে গ্রামের রাস্তার মোড়ে মোড়ে মোতায়েন বিশাল বাহিনী। কংগ্রেস, বাম কিংবা বিজেপি কোনও বিরোধী দলের নেতাকেই মাখড়ায় ত্রিসীমানায় ঢুকতে দেননি খাঁকি উর্দিধারীরা। বৃহস্পতিবারও অতিতত্পর ভুমিকায় পুলিস ।চৌমণ্ডলপুরের আগেই আটকায় বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে গ্রেফতার করা হয় বিজেপি নেতাদের।
সরকার বলছে কর্তব্য পালন করেছে পুলিস। একশো চুয়াল্লিশ ধারা জারি এলাকায় বিরোধী প্রতিনিধিদের আটকানো পুলিসের দায়িত্ব। কিন্তু, গ্রামবাসীদের নিরাপত্তার দায় কী পুলিসের নয়? মাস্কেটবাহিনীর তাণ্ডবের দিন শয্যাশায়ী ছিলেন। এমনই দাবি মাখড়ার ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শেখ মোস্তাফার। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, সদাই শেখ, নিমাই দাস ও হেদল ঘোষ পরিকল্পনা করে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।