মরা ওষুধ জ্যান্ত করার কারবারে এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে
মরা ওষুধ জ্যান্ত করার কারবারে এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে। শুধু কলকাতাই নয়, জেলাতেও ছড়িয়ে পড়েছে এই মারণ কারবার। দক্ষিণবঙ্গের ৫ জেলা চিহ্নিত। কয়েকজন ডিস্ট্রিবিউটরকে চিহ্নিত করেছেন গোয়েন্দারা। কীভাবে অপারেট করত এই চক্র? ক্যানিংস্ট্রিটের ছাপাখানার ধৃত কর্মীকে জেরা করে হদিশ পেতে চাইছেন গোয়েন্দারা।
ওয়েব ডেস্ক: মরা ওষুধ জ্যান্ত করার কারবারে এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে। শুধু কলকাতাই নয়, জেলাতেও ছড়িয়ে পড়েছে এই মারণ কারবার। দক্ষিণবঙ্গের ৫ জেলা চিহ্নিত। কয়েকজন ডিস্ট্রিবিউটরকে চিহ্নিত করেছেন গোয়েন্দারা। কীভাবে অপারেট করত এই চক্র? ক্যানিংস্ট্রিটের ছাপাখানার ধৃত কর্মীকে জেরা করে হদিশ পেতে চাইছেন গোয়েন্দারা।
একের পর এক পর্দা ফাঁস। মরা ওষুধ জ্যান্ত করার কারবারে এবার আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে। কীভাবে মরা ওষুধ জ্যান্ত হত? কীভাবে সেই সব ওষুধ বাজারে চালানো হত?
২ নামী ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে মেয়াদ-উত্তীর্ণ ওষুধ কিনতেন হোলসেলার রিনেস সারোগি। তারপর সেই ওষুধ চলে যেত ক্যানিং স্ট্রিটে পবন ঝুনঝুনওয়ালার ছাপাখানায়। সুকৌশলে ওষুধের স্ট্রিপ বা শিশি থেকে নেলপালিশ রিমুভার দিয়ে মুছে দেওয়া হত এক্সপায়ারি ডেট। নতুন তারিখ দেওয়া মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ ছাপাখানা থেকে ফিরে যেত হোলসেলার রিনেস সারোগির কাছে। এরপর স্টকিস্ট ওই ওষুধ দিয়ে দিতেন রিনেস। সেখান থেকে দোকানে দোকানে পৌছে যেত মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ। তারপর সেই ওষুধ চলে যেত সাধারণ মানুষের হাতে।
অসাধু ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার লাভ হত। মরা ওষুধকে যারা জ্যান্ত করত, তাদেরও লাভ হত। ক্ষতি হত আমার, আপনার মতো সাধারণ মানুষের। গোয়েন্দাদের দাবি, শুধু এই শহরই নয়, এই অসাধু কারবারের জাল ছড়িয়ে বিভিন্ন জেলাতেও। মূলত দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও বর্ধমানে ছড়িয়ে পড়েছে এই মারণ ওষুধ। কয়েকজন ডিস্ট্রিবিউটরকে চিহ্নিত করেছেন গোয়েন্দারা।
জেলার কোথায় কোথায় পাঠানো হয়েছে রি-প্রিন্টেড ওষুধ? কাদের মাধ্যমে ছড়িয়েছে এই মারণ কারবার? ধৃত পল্টু হাজরাকে জেরা করে প্রিন্টিং স্টাইল জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। প্রচুর ওষুধের মধ্যে ঠিক কোন ওষুধ রি-প্রিন্টেড, তা জানার চেষ্টা চলছে। গোটা চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত, তাও জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।