অধিগৃহীত জমি ফেরানো নিয়ে শ্রমমন্ত্রীর মন্তব্যে অস্বস্তিতে তৃণমূল
অধিগৃহীত জমি ফেরানো নিয়ে শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের মন্তব্যে ঘোর অস্বস্তিতে তৃণমূল। সংবাদমাধ্যম তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করছে বলে ইতিমধ্যেই সাফাই দিয়েছেন দলের দুই শীর্ষনেতা। কিন্তু শ্রমমন্ত্রীর ওই মন্তব্যই উসকে দিল আরেক জল্পনা। সিঙ্গুরের জমি নিয়ে কি সচেতনভাবেই অন্য সুর গাইতে শুরু করল সরকার?
সিঙ্গুরে টাটার কারখানার জন্য অধিগৃহীত জমি ফেরাতে ক্ষমতায় এসেই নতুন আইন তৈরি করে তৃণমূল সরকার। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে সেই আইন বাতিল হয়। আইনি লড়াই এখন চলছে সুপ্রিম কোর্টে। এই পরিস্থিতিতে সেই সরকারেরই এক মন্ত্রী বুধবার অন্ডালে যা বললেন, তা সরকারের অবস্থানের এক্কেবারে উল্টো। সিঙ্গুরে টাটাদের জমি ফেরত নিতে আইন তৈরির সময় আইনমন্ত্রী ছিলেন এই মলয় ঘটকই। তিনিই এখন অন্য কথা বলায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়েছে সিঙ্গুরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য মলয়বাবুকে আড়ালই করলেন।
সত্যিই কি ভুল ব্যাখ্যা? কয়েকমাস আগে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজেও তো আদালত এড়িয়ে সিঙ্গুরের জমি জট খোলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর এবার মলয় ঘটক। দুজনের বক্তব্যেই ইঙ্গিত, সিঙ্গুরের জমি আইনি পথে ফেরানোর আশা ক্ষীণ। আগামী মাসেই সিঙ্গুর মামলার চূড়ান্ত রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি আইনি লড়াইয়ে আশার আলো না দেখে এখন বিকল্প খুঁজতে ব্যস্ত সরকার?