তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত রিষড়া
তৃণমূল কংগ্রেসের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল হুগলির রিষড়ার লক্ষ্মীপল্লী মোড়। ওই এলাকায় একটি দোকান ঘরে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোষ্ঠীর লোকজন দলেরই একটি পার্টি অফিস খুলেছে বলে অভিযোগ।
তৃণমূল কংগ্রেসের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল হুগলির রিষড়ার লক্ষ্মীপল্লী মোড়। ওই এলাকায় একটি দোকান ঘরে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোষ্ঠীর লোকজন দলেরই একটি পার্টি অফিস খুলেছে বলে অভিযোগ। সেই দোকানঘর পুনরায় মালিককে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের গোষ্ঠীর লোকজন রবিবার বিক্ষোভ দেখায়। এর থেকে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। গুরুতর আহত অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা হাসপাতালে ভর্তি।
দীপ্তি আইচ নামে এক মহিলাকে বছর পাঁচেকের জন্য দোকানঘর ভাড়া দিয়েছিলেন জয়া বড়ুয়া এবং রূপা বড়ুয়া। কিন্তু লোকসভা ভোটের সময় থেকে দীপ্তি আইচের দোকানে কার্যালয় খুলে বসে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। বাধা দেন জয়া এবং রূপা দেবী। তখন বলা হয়, ভোট মিটলেই তাঁরা তুলে নেবেন কার্যালয়। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচন পেরিয়ে গেলেও পার্টি অফিস ওঠেনি। জয়া বড়ুয়া এবং রূপা বড়ুয়া বিষয়টি নিয়ে দ্বারস্থ হন শ্রীরামপুরের বিধায়ক সুদীপ্ত রায় এবং সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। সাংসদ কোনও ব্যবস্থা না নিলেও বিধায়ক পুলিসকে ওই পার্টি অফিস তুলে দেওয়ার জন্য একটি চিঠি লিখে দেন। তবে পুলিস কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি বলে অভিযোগ।
পয়লা বৈশাখের দিন নতুন করে পার্টি অফিস উদ্বোধনের কথা থাকলেও সুদীপ্ত রায়ের গোষ্ঠীর বাধায়, তা হয়নি। এরপর রবিবার সকালে রূপা এবং জয়া বড়ুয়াকে সঙ্গে নিয়ে পার্টি অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন সুদীপ্ত রায়ের গোষ্ঠী। সে সময় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোষ্ঠীর লোকজন তাঁদের মারধর করে বলে অভিযোগ। দু`পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। ঘটনায় আহত হয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সাবির আলি শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে ভর্তি। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে পুলিস পৌঁছয়। রিষড়া পুরসভাকে কেন্দ্র করে সুদীপ্ত রায় এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোষ্ঠীর বিবাদ প্রকাশ্যে চলে এসেছিল। এবার এই দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ সংঘর্ষের চেহারা নিল।