মাইগ্রেনের যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে কাজে লাগান এই অব্যর্থ টোটকাগুলি
কয়েকটি ঘরোয়া টোটকায় মাইগ্রেনের যন্ত্রণা সহজেই দূর করা সম্ভব। আসুন সেগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক...
নিজস্ব প্রতিবেদন: মাইগ্রেন এমন এক ধরনের মাথা ব্যথা যা মাথার যে কোনও এক পাশ থেকে শুরু হয় এবং দীর্ঘ ক্ষণ স্থায়ি হয়। ফলে তা মারাত্মক কষ্টকর হয়ে ওঠে। তাই অনেকে একে ‘আধ-কপালি’ ব্যথাও বলেন। মাইগ্রেনের যন্ত্রণা দীর্ঘস্থায়ী এবং অত্যন্ত কষ্টদায়ক। যাঁদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের তীব্র মাথা যন্ত্রণার পাশাপাশি বমি বমি ভাব, মুখে এবং শরীরে অস্বস্তি হতে পারে। এই যন্ত্রণা টানা বেশ কয়েকদিন পর্যন্ত থাকতে পারে।
মাইগ্রেনের সমস্যা সাধারণত বংশগত। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বংশপরম্পরায় এই সমস্যা দেখা যায়। তবে সব ধরণের মাথা যন্ত্রণাই কিন্তু মাইগ্রেন নয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ওষুধের সাহায্যে এই যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাওয়া যায় বটে, তবে সব সময় ওষুধ খাওয়ার অভ্যাসও শরীর স্বাস্থ্যের পক্ষে ঠিক নয়। এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয় থেকেই যায়! তবে কয়েকটি ঘরোয়া টোটকায় মাইগ্রেনের যন্ত্রণা সহজেই দূর করা সম্ভব। আসুন সেগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক...
১) মাইগ্রেনের সমস্যা দূর করতে আদা একটি অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান। লেবু ও আদার রস একসঙ্গে বা আদা চা মাইগ্রেনের যন্ত্রণা দূর করতে সাহায্য করে।
২) মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছেন? আঙুর মাইগ্রেনের যন্ত্রণা দ্রুত কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। ২৫ গ্রাম আঙুর বা আঙুরের রস খেয়ে দেখুন। সামান্য পরিমাণ জলে আঙুরের রস মিশিয়ে খেতে পারলে মাইগ্রেনের যন্ত্রণা থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
৩) মাইগ্রেনের সমস্যা দূর করতে কফি একটি অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান। মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় কড়া এক কাপ কফি খেতে পারলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়। কারণ, কফিতে থাকা ক্যাফাইন বেদনানাশক (পেইকিলার) ওষুধের কাজ করে। ফলে মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় এক কাপ কফি শরীরের অস্বস্তি থেকে দ্রুত রেহাই পেতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: এই ৫টি নিয়ম মেনে চলুন, দূরে থাকবে কিডনির সমস্যা
৪) আমাদের খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি দারচিনি (দারুচিনি) মাইগ্রেনের যন্ত্রণা কমাতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আধা কাপ জলের সঙ্গে আধা চামচ দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে কপালে মেখে ৩০ মিনিট রেখে দিন। এর পর উষ্ণ জলে ধুয়ে নিলে মাইগ্রেনের যন্ত্রণা অনেকটাই কম বোধ হবে।
৫) মাইগ্রেনের যন্ত্রণা দূর করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল মালিশ বা ম্যাসাজ। মাথায় আর ঘাড়ে মালিশ করলে শরীরে ও মাথায় রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়। ফলে শরীরে আরাম বোধ হয় আর মাইগ্রেনের যন্ত্রণাও অনেকটাই কম বোধ হবে।