এই কারণগুলি নিঃশব্দে বাড়িয়ে দিতে পারে মাইগ্রেনের সমস্যা

যাঁদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে, এ প্রতিবেদনটি তাঁদের জন্যই...

Updated By: Aug 20, 2019, 03:33 PM IST
এই কারণগুলি নিঃশব্দে বাড়িয়ে দিতে পারে মাইগ্রেনের সমস্যা
—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন: মাইগ্রেন এমন এক ধরনের মাথা ব্যথা যা মাথার যে কোনও এক পাশ থেকে শুরু হয়ে তা ক্রমশ বাড়তে থাকে। তাই আগে অনেকে একে ‘আধ-কপালি’ ব্যথাও বলতেন। মাইগ্রেনের ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী এবং মারাত্মক কষ্টদায়ক। প্রচণ্ড মাথা ব্যথার পাশাপাশি মুখে এবং শরীরে অস্বস্তি সঙ্গে বমি বমি ভাবও দেখা দিতে পারে। অনেক সময় একটানা কয়েকদিন মাইগ্রেনের সমস্যা চলতে থাকে। মাইগ্রেনের সমস্যা অনেক ক্ষেত্রেই বংশগত। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বংশপরম্পরায় এই সমস্যা প্রবাহিত হতে পারে। তবে কয়েকটি অভ্যাস বা কারণ মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই যাঁদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে, এ প্রতিবেদনটি তাঁদের জন্যই। তাই মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দায়ি অভ্যাস বা কারণ জেনে নিয়ে আগে থেকেই সতর্ক হয়ে যান...

১) দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকলে মাইগ্রেনের ব্যথা বা সমস্যা মাথা চাড়া দিতে পারে। কারণ, খালি পেটে থাকলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তৈরি হয় যা মাইগ্রেনের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

২) আমরা যখন অতিরিক্ত মাত্রায় মিষ্টি খাবার খেয়ে ফেলি তখন আমাদের রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়। একই সঙ্গে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত মাত্রায় ইনসুলিনের ক্ষরণ হতে থাকে। এর ফলে রক্তের সুগারের ফের মাত্রা নামতে শুরু করে। এ ভাবে রক্তে সুগারের মাত্রার দ্রুত তারতম্যের ফলে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে।

Migraine

৩) অতিরিক্ত রোদে দীর্ঘক্ষণ ঘোরাঘুরির ফলে অনেক সময় মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হতে পারে। তাছাড়াও অস্বাভাবিক গরম, অতিরিক্ত আর্দ্রতা বা তাপমাত্রার তারতম্যে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে।

৪) অতিরিক্ত আওয়াজ বা হাই ভলিউমে গান শোনার কারণেও মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।

৫) একাধিক গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে, যাঁরা নিয়মিত ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় (যেমন, কফি) খেতে অভ্যস্ত, তাঁরা হঠাত করে সেই অভ্যাস ছেড়ে দিলে মাইগ্রেনের মাথা চাড়া দিতে পারে।

আরও পড়ুন: সদ্যোজাতর সুরক্ষায় সপ্তাহের সাত দিনে ৭ রঙের চাদর পাতছে সরকারি হাসপাতাল

৬) যাঁরা একটানা দীর্ঘক্ষণ অতিরিক্ত চাপ নিয়ে কাজ করেন বা যাঁদের কাজের চাপে ঘুম ও খাওয়া-দাওয়ার কোনও নির্দিষ্ট সময় থাকে না, তাঁদের মধ্যে মাইগ্রেনে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

৭) যাঁরা নিয়মিত মোটামুটি ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা করে ঘুমোন, তাঁরা যদি হঠাত করে একদিন ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমিয়ে কাটান, অনেক ক্ষেত্রে এই সময় তাঁদের মাইগ্রেনের ব্যথা মাথা চাড়া দিতে পারে।

.