কৃমির সমস্যা? কাজে লাগান এই ৮টি অব্যর্থ ঘরোয়া উপায়
বেশ কিছু ঘরোয়া উপায়েও কৃমির হাত থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে। আসুন সেগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক...
নিজস্ব প্রতিবেদন: কৃমির সমস্যায় কম-বেশি প্রায় সকলকেই ভুগতে হয়েছে। একাধিক গবেষণায় জানা গিয়েছে, প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষের পেটেই কৃমি থাকে। তাই বলে এটিকে সাধারণ সমস্যা বলে অবহেলা করলেই মারাত্মক ফল হতে পারে। কারণ, শরীরে কৃমির মাত্রা বৃদ্ধি পেলেই খিদে না পাওয়া, মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, অল্পেই ক্লান্ত হয়ে পড়ার মতো বেশ কিছু সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। মার্কিন চিকিৎসক আব্রাম বের-এর মতে, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে কৃমির সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। বেশ কিছু ঘরোয়া উপায়েও কৃমির হাত থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে। আসুন সেগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক...
রসুন: কাঁচা রসুনে প্রায় ২০ ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং ৬০ ধরনের ফাংগাস মেরে ফেলার ক্ষমতা রয়েছে। পুষ্টিবিদদের মতে, রসুন একটি অ্যান্টি-প্যারাসাইটিক (পরজীবী নাশক) খাবার যা কৃমি দূর করতে সাহায্য করে। কাঁচা রসুনে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড পেটের কৃমি মেরে ফেলে। তাই রোজ সকালে খালি পেটে ২ কোয়া রসুন খেতে পারলে উপকার পাবেন।
শশার বীজ: কৃমির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে শশার বীজ অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। শশার বীজ শুকিয়ে, গুঁড়ো করে রোজ ১ চামচ করে খেতে পারলে দ্রুত উপকার পাবেন।
লবঙ্গ: কৃমির সমস্যায় রোজ ২টি করে লবঙ্গ খান। এর অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল (অণুজীব নাশক) উপাদান কৃমি মেরে ফেলে।
মিষ্টি কুমড়োর বীজ: ২ চামচ মিষ্টি কুমড়োর বীজের গুঁড়ো ৩ কাপ জল দিয়ে আধ ঘণ্টা সিদ্ধ করুন। ওই জল সকালে খালি পেটে এক সপ্তাহ খান। উপকার পাবেন। এ ছাড়া ১ চামচ মিষ্টি কুমড়োর বীজের গুঁড়োর সঙ্গে ১ চামচ মধু মিশিয়েও খেতে পারেন। কৃমির সমস্যায় দ্রুত উপকার পাবেন।
আরও পড়ুন: পড়ে থাকা মোজা দিয়েই কমান কানের অসহ্য ব্যথা!
গাজর: কৃমির সমস্যা দূর করতে রোজ সকালে খালি পেটে একটি করে গাজর খান। গাজরে থাকা ভিটামিন এ, সি, বিটা ক্যারোটিন এবং জিঙ্ক শরীরে কৃমি প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
হলুদ: কাঁচা হলুদ অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। কৃমির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে এটি খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। আধা কাপ উষ্ণ জলে, সামান্য হলুদ গুঁড়ো এবং নুন মিশিয়ে খান। এই মিশ্রণ ৫ দিন পর পর খেতে পারলে দ্রুত উপকার পাবেন।
অ্যাপল সিডার ভিনিগার: খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে অ্যাপল সিডার ভিনিগার খেতে পারলে তা পেটে অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। ওই অ্যাসিডে শরীরে প্যারাসাইট (পরজীবী) ও ক্ষতিকর জীবাণুর লার্ভা মারতে সাহায্য করে।
আনারস: আনারসের ব্রোমেলিন এনজাইম শরীরে বাসা বাঁধা প্যারাসাইট বা পরজীবী মারতে সাহায্য করে। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পর পর তিন-চার দিন শুধু আনারস খেয়ে থাকতে পারলে কৃমির সমস্যা সম্পূর্ণ সারানো সম্ভব।
উল্লেখিত উপায়গুলি আধুনিক চিকিত্সাশাস্ত্রে পরীক্ষিত নয়। এগুলি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত ঘরোয়া টোটকা মাত্র যা আপনার এই সমস্যা সাময়িক ভাবে কমাতে পারে। তবে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে কৃমির সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।