মেডিক্যাল কলেজে কেন্দ্রীয় টাকা নয়ছয় রাজ্যের, ২৪ ঘণ্টার এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট
এসএনসিইউ তৈরিতে বড়সড় আর্থিক অনিয়ম ধরা পড়ল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পাঠানো অনুদানের প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা প্রকল্প বর্হিভূত খাতে খরচ করেছে রাজ্য। নয়ছয় হয়েছে প্রসূতীদের জন্য বরাদ্দ জননী শিশু সুরক্ষা যোজনার টাকা। কেন্দ্রীয় অডিটে ধরা পড়ল এই চিত্র। ২৪ ঘণ্টার এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট।
এসএনসিইউ তৈরিতে বড়সড় আর্থিক অনিয়ম ধরা পড়ল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পাঠানো অনুদানের প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা প্রকল্প বর্হিভূত খাতে খরচ করেছে রাজ্য। নয়ছয় হয়েছে প্রসূতীদের জন্য বরাদ্দ জননী শিশু সুরক্ষা যোজনার টাকা। কেন্দ্রীয় অডিটে ধরা পড়ল এই চিত্র। ২৪ ঘণ্টার এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট।
গত ২৮ জানুয়ারি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে অসুস্থ সদ্যোজাতদের চিকিত্সার জন্য নয়া এসএনসিইউ-র উদ্বোধন হয়। তিরিশ শয্যার পুরনো নার্সারি ওয়ার্ডকে রাতারাতি নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে কুমির ছানা দেখানোর মতো তৈরি হয় একশো বেডের এই এসএনসিইউ। উদ্বোধন করেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। মেডিক্যালের সেই এসএনসিইউ তৈরিতে এবার বড়সড় আর্থিক অনিয়ম ধরা পড়ল কেন্দ্রীয় অডিটে।
কয়েক দিন আগে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে অডিটে আসে কেন্দ্রীয় অডিট সংস্থার একটি দল। হাসপাতালের আয়-ব্যয়ের হিসেব খতিয়ে দেখছিলেন তাঁরা। তখনই ধরা পড়ে অনিয়মটা। চলতি আর্থিক বছরে কেন্দ্রের পাঠানো জননী শিশু সুরক্ষা যোজনার প্রায় ষোল লক্ষ টাকার কোনও হদিশ নেই। কোথায় গেল টাকা? মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান অডিটররা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অডিটরদের জানায় স্বাস্থ্য কর্তাদের নির্দেশে এসএনসিইউ তৈরিতে খরচ করা হয়েছে ওই টাকা।
যে টাকা আসলে খরচ হওয়ার কথা অসুস্থ মা এবং সদ্যোজাত শিশুদের চিকিতসায়। প্রকল্প বর্হিভূত খাতে এসএনসিইউ তৈরির জন্য তা কেন ব্যয় করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অডিটররা। মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁরা জানতে চায় এসএনসিইউ তৈরিতে জননী শিশু সুরক্ষা যোজনার টাকা খরচ করা হবে, এই মর্মে কোনও সরকারি নির্দেশিকা জারি হয়েছিল কিনা?
কোনও লিখিত সরকারি নির্দেশ আসেনি। মন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য কর্তাদের মৌখিক নির্দেশেই তড়িঘড়ি এক খাতের কেন্দ্রীয় অনুদানের টাকা অন্য খাতে খরচ করতে তাঁরা বাধ্য হয়েছেন।
অসুস্থ সদ্যোজাতদের চিকিত্সার জন্য নতুন সরকার তৈরি করছে ৩০টি এসএনসিইউ। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই চালু হবে আরও দশটি। ভোট প্রচার থেকে জনসভা। বহু জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীর গলায় শোনা গেছে তাঁর হাতে থাকা স্বাস্থ্য দফতরের সাফল্যের এই খতিয়ান। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রজেক্ট আর্থিক অনিয়মের বিতর্কে জড়িয়ে পড়ায় অস্বস্তিতে স্বাস্থ্য কর্তারা। মেডিক্যাল কলেজের এই অডিট রিপোর্ট কয়েকদিনের মধ্যেই জমা পড়বে স্বাস্থ্য ভবনে। বিতর্ক এড়াতে মুখে কুলুপ এঁটেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।