Arpita Mukherjee, ED: চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফি চাই! জেরার মাঝে অর্পিতার আবদারে অবাক ইডি
Arpita Mukherjee, ED: পার্থ-অর্পিতার সঙ্গে সুদীপ্ত-দেবযানীর তুলনা টেনে অনেকেই বলছেন, ইডির দৌলতে অন্তত পার্থ-অর্পিতা একই ছাদের নিচে থাকতে তো পারছেন, তাই বা কম কি!
পিয়ালি মিত্র: সল্টেলেক সিজিও কমপ্লেক্সের সাত তলায় ইডির দফতর। সেখানে একই ছাদের তলায় এখন ঠাঁই হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যোয় (Partha Chatterjee) এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee)। অভিযুক্তকে জেরা চলছিল। হঠাৎই ঘটল এক অবাক করা ঘটনা। ইডির তদন্তকারীদের কাছে আচমকা ব্ল্যাক কফির আবদার করলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। তাও আবার চিনি ছাড়া। অভিযুক্তের এহেন আবদার শুনে খানিক ভিরমি খাওয়ার জোগার তদন্তকারীদের। জেরার মাঝে ব্ল্যাক কফি? পার্থ-ঘনিষ্ঠ এই মডেল-অভিনেত্রীকে অগত্যা এক কাপ ব্ল্যাক কফি দেওয়া হয়। সেটা অবশ্যই চিনি ছাড়া। এরপর চলে ম্যারাথন জেরা।
সোমবার কলকাতায় ইডির বিশেষ আদালত, পার্থ এবং অর্পিতাকে ৩ অগাস্ট পর্যন্ত হেফাজতের রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। রাত ১১টা ১৫ মিনিট নাগাদ অর্পিতাকে নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্স পৌঁছন ইডির অফিসাররা। রাতে ইডি দফতরের একটি রুমেই অর্পিতাকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। সোমবার রাতে অবশ্য পার্থর কলকাতা ফেরা হয়নি। তাঁকে ভুবনেশ্বর এইমস হাসপাতালে রাত কাটাতে হয়। মঙ্গলবার সকালে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। রাজ্যের মন্ত্রীকেও কোনও থানার লকআপে না রেখে, সিজিও কমপ্লেক্সের আট তলায় আলাদা রুমে (অস্থায়ী “লকআপ”) রাখা হয়।
প্রসঙ্গত, আগে সিবিআই বা ইডির হাতে ধৃতদের রাখা হত রাজ্য পুলিসের লকআপে। মদন মিত্র থেকে সুদীপ্ত সেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গুলির হেফাজতে থাকাকালীন রাতে, বিধাননগর কমিশনারেট থানার লকআপেই থাকতেন তাঁরা। দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে রাখা হত মহিলা থানার লকআপে। কিন্তু এখন দুটি কেন্দ্রীয় সংস্থায়ই ধৃতদের নিজেদের অফিসেই রাখার ব্যবস্থা করেছে।
২২ জুলাই বিকেলে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ডায়মন্ড সিটি সাউথের ফ্ল্যাট থেকে উদ্বার হয় বিপুল অঙ্কের টাকা, গয়না, মোবাইল এবং বৈদেশিক মুদ্রা। পরের দিন গ্রেফতার হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্প মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতার করা হয় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও।
সূত্রের খবর, ২০ জুলাই অর্পিতার ডায়মন্ড সিটি সাউথের ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন পার্থ। এর আগে ১৭ জুলাইও ওই ফ্ল্যাটে তিনি গিয়েছিলেন বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। ইডির তৎপরতায় বর্তমানে এক ছাদের তলায় যুগল। এখনও যদিও মুখোমুখি হননি কেউ। দু'জনকে মুখোমুখি জেরার পরিকল্পনা রয়েছে তদন্তকারীদের।
পার্থ-অর্পিতার সঙ্গে সুদীপ্ত-দেবযানীর তুলনা টেনে অনেকেই বলছেন সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে, ওই যুগলও একই সঙ্গে গ্রেফতার হন। কিন্তু জেরার সময়টা ছাড়া তাঁদের রাখা হত আলাদা লকআপে। ঠাট্টার সুরে অনেকের মন্তব্য, ইডির দৌলতে অন্তত পার্থ-অর্পিতা একই ছাদের নিচে থাকতে পারছেন, তাই বা কম কি!