ফের পুকুরভরাট বাইপাসের ধারে, নিষ্ক্রিয় ফুলবাগান থানা

জলাভূমি সংরক্ষণ আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বাইপাসের ধারে একের পর এক জলাশয় বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে। তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন ক্যানাল সার্কুলার রোডের ধোবিপুকুর। একবিঘা এই জলাশয় রাতের অন্ধকারে ভরাট করে এখন চলছে প্রমোটিং।

Updated By: May 23, 2012, 04:35 PM IST

জলাভূমি সংরক্ষণ আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বাইপাসের ধারে একের পর এক জলাশয় বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে। তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন ক্যানাল সার্কুলার রোডের ধোবিপুকুর। একবিঘা এই জলাশয় রাতের অন্ধকারে ভরাট করে এখন চলছে প্রমোটিং।
কলকাতা পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ড। ফুলবাগান থানা এলাকার ৫১/বি ক্যানাল সার্কুলার রোডের কে পি সিং-এর বিবেক বাল্ব কারখানার ঠিক পাশেই একবিঘা জমির ওপর বিশাল জলাশয়। যা পূর্ব কলকাতা জলাভূমির অন্যতম। দিন পনেরো আগেও ছিল। এখন নেই। কারণ সেখানে প্রোমোটিং চলছে। স্থানীয় দূষ্কৃতীদের মদত, শাসকদলের এক বিধায়কের দাপাদাপিতে রাতের অন্ধকারে পে লোডার দিয়ে মাটি ফেলে ভরাট হচ্ছে ধোবিপুকুর নামে দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত এই জলাশয়। জমির পুরনো মালিক কালীপদ মন্ডল। বছর দুয়েক আগে এক শিল্পগোষ্ঠী তার কাছ থেকে জমি কিনে নেয়। শুরু হয় মাপজোকের কাজ। অশনি সঙ্কেত তখনই দেখেছিলেন স্থানীয় ৪৫ ঘর রজক পরিবার। যাদের জীবিকা নির্বাহের অন্যতম প্রধান মাধ্যম ছিল এই জলাশয়। সীমিত ক্ষমতার মধ্যে বাধাও দিয়েছিলেন তারা। প্রবল চাপের কাছে সে বাধা ধোপে টেকেনি।
 
দিন পনেরো আগে শুরু হয় জলাশয় ভরাটের কাজ। পুলিসের কাছে খবর ছিল। জলাভূমি সংরক্ষণ আইন মেনে যে পুলিসের এ কাজে বাধা দেওয়া উচিত, সেই ফুলবাগান থানা এখন ওপরমহলের নির্দেশে একটি নির্দিষ্ট শিল্পগোষ্ঠীর ধামাধারী হয়ে অকুস্থলে চৌকিদারি করছে। আর মাঝেমধ্যেই সংস্থার পাঠানো গুন্ডাদের হাতে মার খাচ্ছে প্রতিবাদী রজক পরিবারগুলি।

.