রাত পোহালেই ভোটের ফলপ্রকাশ বনগাঁ, কৃষ্ণগঞ্জে। পরীক্ষা দুই ফুল, মুকুলেরও

ঘাসফুলেই আস্থা রাখবেন মানুষ? না ফুটবে পদ্মফুল? নাকি দুই ফুলের ভোটযুদ্ধের ফায়দা লুঠবে বাম শিবির? সব প্রশ্নের উত্তর সোমবার। বনগাঁ লোকসভা ও কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের ফল বেরোচ্ছে সোমবার। বনগাঁ ও কৃষ্ণগঞ্জ দুটি কেন্দ্রই তৃণমূলের জেতা আসন। তেরোই ফেব্রুয়ারির  উপনির্বাচনে দুই কেন্দ্রেই ভোট পড়েছে ৮২ শতাংশের বেশি। উপনির্বাচনে এত বেশি ভোটদান সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষের ইঙ্গিত কি না তা নিয়ে রাজনৈতিক  মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা।

Updated By: Feb 15, 2015, 07:48 PM IST

ওয়েব ডেস্ক: ঘাসফুলেই আস্থা রাখবেন মানুষ? না ফুটবে পদ্মফুল? নাকি দুই ফুলের ভোটযুদ্ধের ফায়দা লুঠবে বাম শিবির? সব প্রশ্নের উত্তর সোমবার। বনগাঁ লোকসভা ও কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের ফল বেরোচ্ছে সোমবার। বনগাঁ ও কৃষ্ণগঞ্জ দুটি কেন্দ্রই তৃণমূলের জেতা আসন। তেরোই ফেব্রুয়ারির  উপনির্বাচনে দুই কেন্দ্রেই ভোট পড়েছে ৮২ শতাংশের বেশি। উপনির্বাচনে এত বেশি ভোটদান সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষের ইঙ্গিত কি না তা নিয়ে রাজনৈতিক  মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা।

তৃণমূল শিবিরের অবশ্য দাবি, সরকারের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিতেই বেশি সংখ্যায় বুথমুখো হয়েছেন মানুষ। তবে চতুর্মুখী নির্বাচনে রিগিংয়ের অভিযোগ বিশেষ ওঠেনি। কার ভাগ্যে শিকে ছিঁড়ছে তা জানা যাবে সকাল আটটা থেকে। বনগাঁর দীনবন্ধু কলেজ ও নদিয়ার রাণাঘাট কলেজে ভোটগণনা হবে।

মুকুল ইন? নাকি মুকুল আউট? রাত পোহালেই নতুন মোড় নিতে পারে রাজ্য রাজনীতির চিত্রনাট্য। শাসক শিবিরে ভাঙনের স্রোত ভবিষ্যতে কোন খাতে বইবে, মর্যাদার লড়াইয়ে কতটা সফল হবেন তৃণমূলনেত্রী, কাল বনগাঁ ও কৃষ্ণগঞ্জ উপনির্বাচনের ফল তা অনেকটাই স্পষ্ট করে দেবে। দুই কেন্দ্রের ফলাফলের হাত ধরে জন্ম নিতে পারে নতুন সমীকরণ।

উপনির্বাচনে সরকার বদলায় না। পরিবর্তন আসে না প্রশাসনেও। তাই বেশিরভাগ উপনির্বাচনে জনতার রায় যায় শাসকের অনুকূলে। কিন্তু সময়ের দাবি মেনে কিছু কিছু উপনির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। ঠিক যেমনটা এবারের বনগাঁ লোকসভা ও কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন।
শাসক দলের পক্ষে বেশ কঠিন সময়ে এই ভোট।

সারদায় অভিযুক্ত বড় মাথাদের তলব

গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর জেল যাত্রা

বিজেপির লাগাতার শক্তি বৃদ্ধি  

মন্ত্রিসভা থেকে শুরু করে শাসকদলে ভাঙন

অন্তর্ঘাতের আশঙ্কায় দুরুদুরু শাসক শিবির
---
মুকুল রহস্যের পটভূমিকায় এই উপনির্বাচন তৃণমূলনেত্রীর কাছে দারুণভাবে মর্যাদার লড়াই। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে ১ লক্ষ ৪৬ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর। জয়ের এই ব্যবধান উপনির্বাচনে মোটামুটি ধরে রাখতে পারলে, তৃণমূলে মমতাই যে শেষ কথা, তাতে আরও একবার সিলমোহর পড়বে। নতুন করে অক্সিজেন পাবে সারদায় জেরবার শাসক শিবির। একই সঙ্গে চাপে পড়বেন মুকুল রায় ও তাঁর অনুগামীরা। মুকুলকে ঘিরে এখন যে ভিড় ঘুরঘুর করছে, তৃণমূল বড় জয় পেলে তা পাতলা হতে পারে।
----
ধরা যাক তৃণমূল জিতল। কিন্তু বড় ধাক্কা হল মার্জিনে। সেক্ষেত্রে কিন্তু ষথেষ্ঠ দুশ্চিন্তার পরিস্থিতি তৈরি হবে তৃণমূলে। মুকুলের কনফিডেন্স যে একলাফে বাড়বে, বলাই বাহুল্য।
----
আর দুই উপনির্বাচনের কোনও একটাতে যদি শাসকদলের হার হয়, তবে তো কথাই নেই।
----
তৃণমূলের অবস্থা যখন এরকম, তখন ভুরু কুঁচকে অপেক্ষা করছে বিজেপি আর বামেরাও। গত কয়েক মাসে বিজেপির ভোটে যে উর্ধ্বমুখী গ্রাফ দেখা যাচ্ছিল, তা কি ধরে রাখা যাবে? চিন্তায় আছে বিজেপি শিবিরও।
----
বামেদের ক্ষেত্রে ঠিক উল্টোটা। গত কয়েকটা ভোটে বড়সড় পতনের মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। এবার কি সম্মান একটু ফিরবে? নাকি অবস্থা আরও খারাপ হবে? এটাই চিন্তা বামেদের।

.