Primary TET: অরুণিমা-সহ ৩০ জনের জামিন, ধর্মতলায় ধরনার অনুমতি টেট চাকরিপ্রার্থীদের
টেট বিক্ষোভে ধুন্ধুমারকাণ্ডে এক্সাইড মোড়ে। চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পালের কানে কামড় মহিলা পুলিসকর্মীর! আক্রান্ত-সহ গ্রেফতার করা হয়েছিল ৩০ জনকে।
অর্ণবাংশু নিয়োগী ও মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: রায়দান স্থগিত ছিল। টেট বিক্ষোভে হাতে কামড় খাওয়া অরুণিমা পাল-সহ ৩০ জন চাকরিপ্রার্থীকেই শেষপর্যন্ত জামিন দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। কীভাবে? ৩০০ টাকার বন্ডে। যাঁরা জামিন পেলেন, তাঁদের প্রত্যেককে অবশ্য থানায় হাজিরা দিতে হবে। শুধু তাই নয়, ধর্মতলায় ফের ধরনায় বসতে পারবেন ২০১২ ও ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা। গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ৪০ দিন শান্তিপূর্ণ ধরনার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট।
চাকরি চাইতে গিয়ে পুলিসের কামড়! স্রেফ গ্রেফতারি নয়, টেট বিক্ষোভে আক্রান্ত অরুণিমা পাল-সহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল। এদিন ধৃতদের পেশ করা হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। শুনানি চলাকালীন চাকরিপ্রার্থীদের যখন ২২ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়, তখন পুলিসের বিরুদ্ধে পাল্টা দমনমূলক আচরণের অভিযোগ করেন ধৃতদের আইনজীবী। দু'পক্ষের সওয়াল-জবাবে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে আদালত কক্ষে। বাদানুবাদের জড়িয়ে পড়েন আইনজীবীরা। রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন বিচারপতি।
প্রাথমিকে নিয়োগ কবে হবে? গতকাল, বুধবার এক্সাইড মোড়ে জমায়েত হন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা। চাকরির দাবিতে রাস্তায় বসে পড়েন তাঁরা। এমনকী, প্রিজন ভ্যানের নিচে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বেশ কয়েকজন। টেট বিক্ষোভের জেরে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। ব্যস্ত অফিসে টাইমে তখন কার্যত অবরুদ্ধ গোটা এলাকা। 'এবার আর ফিরব না', অনড় আন্দোলনকারীরা।
পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল পুলিসও। মহিলা পুলিসকর্মীর সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। রাস্তা থেকে জোর করে সরাতে গেলে, পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় আন্দোলনকারীদের। রীতিমতো টেনে হিঁচড়ে, চ্যাংদোলা করে চাকরিপ্রার্থীদের তোলা হয় পুলিসের গাড়িতে। ধস্তাধস্তিতে একজনের মাথা ফেটে যায়। পুলিসের তাড়া খেয়ে বহু চাকরিপ্রার্থী আবার ছুটে যান ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের দিকে! সেখানে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয়। বিশাল পুলিসবাহিনী গিয়ে ক্যামাক স্ট্রিট থেকে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, অরুণিমা পাল নামে চাকরিপ্রার্থীর হাতে নাকি কামড়ে দেন এক মহিলা পুলিসকর্মী! যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: TET Scam: 'সোমবার পর্যন্ত দেখব, নির্দেশ কার্যকরী না হলে পরীক্ষা বন্ধ করে দেব'
এর আগে, চাকরি দাবিতে ধর্মতলায় ধরনায় বসেছিলেন ২০১২ ও ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা। কিন্তু পুলিসের বাধায় তাঁরা আন্দোলন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন বলে অভিযোগ। মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। এদিন ২০১২ ও ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির সামনে ৪০ দিন শান্তিপূর্ণ অবস্থানের অনুমতি দিল আদালত। কবে থেকে? বিচারপতি রাজাশেখর মান্তারের নির্দেশ, লালবাজারে গিয়ে পুলিসের পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করতে হবে আন্দোলনকারীদের। তারপরই ধরনার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হবে।