আগামী ৩০ ডিসেম্বর শঙ্কুদেবকে ডেকেছে ইডি
সারদা কেলেঙ্কারির তদন্ত এ বার পৌছে গেল তৃণমূলের সদর দফতরে। দলীয় নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডাকে নোটিস দিতে আজ তৃণমূল ভবনে যান ইডি-র আধিকারিকরা। যদিও, সে খানে কেউ সেই নোটিস নেননি। পরে, ইডি শঙ্কুদেবের আইনজীবীর কাছে নোটিস পাঠিয়ে দেয়। ৩০ ডিসেম্বর তাঁকে তলব করা হয়েছে। ইডি অফিসে তিনি যাবেন বলে জানিয়েছেন শঙ্কুদেব।
এ বার কে? সৃঞ্জয় বসু, মদন মিত্রর গ্রেফতারের পর এই প্রশ্নটা আরও জোরালো হয়েছে। আর ঠিক তখনই টিএমসিপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি, দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক শঙ্কুদেব পণ্ডাকে তলব করল ইডি। কুণাল ঘোষ, রজত মজুমদার, সৃঞ্জয় বসু, মদন মিত্রদের বেলায় তাঁদের বাড়িতেই নোটিস পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু, শঙ্কুদেব পণ্ডাকে ডাকার জন্য তদন্তকারীরা চলে গেলেন তৃণমূল ভবনে। ইডির দাবি, শঙ্কুদেব পণ্ডার বাড়ির ঠিকানা, ফোন নম্বর তাদের কাছে ছিল না। লোকাল অ্যাড্রেস হিসাবে তৃণমূল ভবনের নাম থাকায় তারা সেখানেই নোটিস দিতে যান।
তৃণমূল কর্মীদের কাছ থেকে ফোন নম্বর নিয়ে শঙ্কুদেবের সঙ্গে কথা বলেন ইডি-র অফিসাররা। শঙ্কুদেবের কথামতো তাঁর আইনজীবীর কাছে ফ্যাক্সে নোটিস পাঠিয়ে দেয় ইডি। দলের সদর দফতরে ইডি যাওয়ায় রাজনৈতিক চক্রান্তের অভিযোগ করেছেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সারদা-কাণ্ডে তৃণমূলকে জড়াতেই শঙ্কুদেবের বাড়িতে না গিয়ে তৃণমূল ভবনে ইডি নোটিস দিতে যায় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। ইডি সূত্রে খবর, সারদা মামলায় জামিনে মুক্ত ব্যবসায়ী শান্তনু ঘোষের সুপারিশে শুভাপ্রসন্নর মালিকানাধীন এখন সময় চ্যানেলে যোগ দেন শঙ্কুদেব পণ্ডা। চ্যানেলে ইনপুট এডিটারের দায়িত্ব ছিল তাঁর। একইসঙ্গে, সুদীপ্ত সেনের চ্যানেল টেনেরও কর্মী ছিলেন শঙ্কুদেব। বেতন-ভাতা মিলিয়ে মাসে পেতেন প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা।
চালু না হওয়া এখন সময় চ্যানেল কয়েক কোটি টাকায় সুদীপ্ত সেনকে বিক্রি করেন শুভাপ্রসন্ন। চ্যানেল বিক্রির সময় টাকার অঙ্কে নানা গরমিল খুঁজে পেয়েছেন ইডি-র আধিকারিকরা। এ বিষয়ে আরও স্পষ্ট ধারণা পেতে শঙ্কুদেবকে জেরা করা দরকার বলে মনে করছে ইডি। শঙ্কুদেবকে জেরার ভিত্তিতেই ফের শাসকদলের ঘনিষ্ঠ চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্নকে ডাকতে পারেন তদন্তকারীরা।