ভবানীপুরে ব্যাঙ্কে গুলি, নিহত ২
ব্যাঙ্কের নিরাপত্তাকর্মীর গুলিতে নিহত হলেন ব্যাঙ্কেরই একজন কর্মী ও আরেক নিরাপত্তাকর্মী। দিনে দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ভবানীপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে। দুপুর ১২টা নাগাদ ব্যাঙ্কের নিরাপত্তারক্ষী সুনীল সরকার ব্যাঙ্কের চারতলায় গুলি করেন তাঁর সহকর্মী রাধাকৃষ্ণ মণ্ডলকে। তারপর নীচে নেমে গুলি করেন ক্যাশিয়ার মানব বসুকে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজনকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ব্যাঙ্কের নিরাপত্তাকর্মীর গুলিতে নিহত হলেন ব্যাঙ্কেরই একজন কর্মী ও আরেক নিরাপত্তাকর্মী। দিনে দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ভবানীপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে। দুপুর ১২টা নাগাদ ব্যাঙ্কের নিরাপত্তারক্ষী সুনীল সরকার ব্যাঙ্কের চারতলায় গুলি করেন তাঁর সহকর্মী রাধাকৃষ্ণ মণ্ডলকে। তারপর নীচে নেমে গুলি করেন ক্যাশিয়ার মানব বসুকে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজনকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
গুলি চালনোর পরই আগ্নেয়াস্ত্র সমেত ম্যানেজারের ঘরে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন সুনীল সরকার। তাঁকে গ্রেফতার করে ভবানীপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিসের অনুমান এই ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত। সুনীল সরকার নিজের ডাবল ব্যারল রাইফেল থেকে গুলি চালিয়েছেন। পরপর দুটি গুলি করেন রাধাকৃষ্ণ মণ্ডলকে। নীচে নামার সময় রাইফেলে ফের গুলি ভরেন তিনি। তারপরই ক্যাশিয়ার মানব বসুকে গুলি করা হয়। এর থেকেই পুলিসের অনুমান, ঠাণ্ডা মাথায় পূর্ব পরিকল্পনা মতো দুজনকে খুন করেছেন সুনীল সরকার। পূর্ব কোনও আক্রোশ থেকেই এই খুন বলে অনুমান।
সেনাবাহিনীর চাকরিতে অবসর নেওয়ার পর থেকেই ব্যাঙ্কের ওই শাখায় কর্মরত সুনীল সরকার। ক্যাশিয়ারের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় টাকা পৌঁছতে যান ব্যাঙ্কের নিরাপত্তারক্ষীরা। কোন ধরনের আর্থিক কারণ এই খুনের পিছনে রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দা বিভাগ। নিহত দুই কর্মী ও সুনীল সরকার সম্পর্কে জানতে ব্যাঙ্কের ম্যানেজার ও কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস। ঘটনার পরই ডিজি সাউথের নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখার কর্মীরাও ঘটনার তদন্তে ব্যাঙ্কে গিয়েছেন।