যাবজ্জীবন থেকে কমিয়ে ছত্রধর মাহাতকে ১০ বছর কারাদণ্ড, বেকসুর খালাস ২ জনকে
২০১৫-র মে মাসে বিস্ফোরণ মামলায় ছত্রধর মাহাতদের দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করে মেদিনীপুর দায়রা আদালত।
নিজস্ব প্রতিবেদন : সাজা কমল ছত্রধর মাহাতর। যাবজ্জীবন থেকে কমিয়ে ১০ বছর কারাবাসের কথা ঘোষণা করল হাইকোর্টের বিচারপতি মুমতাজ খান ও জয় সেনগুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ। অন্যদিকে মুক্তি দেওয়া হল রাজা সরখেল ও প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে। বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ নেই। একথা উল্লেখ করেই ওই দুজনকে মুক্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন বিচারক। তবে বাকি ৩ জন তথা সগুন মুর্মু, শম্ভু সোরেন ও সুখশান্তি বাস্কেকে ছত্রধর মাহাতর সঙ্গেই ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন বিচারপতিরা।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে কাটাপাহাড়িতে একটি ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে ২০০৯-এর সেপ্টেম্বরে বীরকাঁর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় ছত্রধর মাহাতকে। বিস্ফোরণের ঘটনায় ছত্রধর মাহাতের সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয় সগুন মুর্মু, শম্ভু সোরেন, সুখশান্তি বাস্কে, রাজা সরখেল, প্রসূন চট্টোপাধ্যায় ও রঞ্জিত মুর্মুকে। সাংবাদিক সেজে গিয়ে ছত্রধর মাহাতদের গ্রেফতার করেছিলেন গোয়েন্দারা। প্রশ্ন ওঠে সেই গ্রেফতারি নিয়ে। কিন্তু, ৬ বছর ধরে শুনানি পর্বের শেষে ২০১৫-র মে মাসে বিস্ফোরণ মামলায় ছত্রধর মাহাতদের দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করে মেদিনীপুর দায়রা আদালত।
আরও পড়ুন, মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার খাগড়াগড় বিস্ফোরণের চক্রী জেএমবি জঙ্গি জহিরুল
যাবজ্জীবনের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ছত্রধর মাহাত, সুখশান্তি বাস্কে, শম্ভু সরেন, সগুন মুর্মু, রাজা সরখেল, প্রসূন চট্টোপাধ্যায়দের মুক্তির দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে সওয়াল করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী শেখর বসু। দীর্ঘ শুনানি পর্বের মাঝে, ইতিমধ্যে জেলেই মৃত্যু হয়েছে রঞ্জিত মুর্মুর। অবশেষে দীর্ঘ সওয়াল-জবাবের পর আজ চূড়ান্ত রায় ঘোষণা হল সেই মামলার। সাজা কমানো হল ছত্রধর মাহাতর। উল্লেখ্য, গ্রেফতারির সময় তাঁর কাছ থেকে কিছু বইপত্র, লিফলেট, জিলেটিন, অস্ত্র পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা। সেইসব তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে ছত্রধর মাহাতকে অস্ত্র মামলায় ৩ বছর, UAPA আইনে ১০ বছর এবং রাষ্ট্রদোহিতার অপরাধে ৮ বছর কারাবাসের সাজা শোনান বিচারপতিদ্বয়। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, সাজা কমানোয় সেক্ষেত্রে সেপ্টেম্বরের শেষে ছাড়া পেতে পারেন ছত্রধর মাহাত।