কালীক্ষেত্র কলকাতা, দীপাবলির আলোয় ঝলমলে তিলোত্তমা

কলকাতা কালীক্ষেত্র। উত্তর থেকে দক্ষিণ, শ্যামা মায়ের আরাধনায় শহর জুড়ে উত্‍সবের ছবি। দীপাবলির আলোয় ঝলমল করছে তিলোত্তমা।

Updated By: Oct 23, 2014, 03:27 PM IST
কালীক্ষেত্র কলকাতা, দীপাবলির আলোয় ঝলমলে তিলোত্তমা

কলকাতা: কলকাতা কালীক্ষেত্র। উত্তর থেকে দক্ষিণ, শ্যামা মায়ের আরাধনায় শহর জুড়ে উত্‍সবের ছবি। দীপাবলির আলোয় ঝলমল করছে তিলোত্তমা।

আমহার্স্ট স্ট্রিট সাধারণ কালীপুজো কমিটি। বরাবরই সোমেন মিত্রর পুজো হিসেবে পরিচিত।

হস্তশিল্পের সমাহারে সেজে উঠেছে পুজোমণ্ডপ।  

কলকাতার পুরনো পুজোগুলির একটি হল ফাটাকেষ্টর পুজো। প্যাগোডার আদলে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। সোনার অলঙ্কার দিয়ে প্রতিমার অঙ্গসজ্জা এখানকার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

মধ্য কলকাতাকে টেক্কা দিচ্ছে দক্ষিণের চেতলা। এমনিতেই কালীপুজোয় চেতলা কলকাতায় নম্বর ওয়ান। এখানকার কম করে বাহান্নটি পুজো প্রতিবার নজর কাড়ে শহরবাসীর। থিমের পাশাপাশি থাকে বিভিন্ন রূপের দেবীমূর্তি।

দুর্গাপুজোয় সেরার শিরোপা জিতে নেওয়ার পরে, কালীপুজোতেও তাক লাগিয়েছে চেতলা অগ্রণী। মণ্ডপে ঢুকলেই মায়াবী আলোয় চোখ ধাঁধিয়ে যাবে। বিশাল শিবলিঙ্গের আদলে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। আলোর ঝরনাধারায় ভেসে যাচ্ছে গোটা এলাকা।

দক্ষিণেশ্বরে ভবতারিণীর মন্দির তখনও গড়ে ওঠেনি। তার পাঁচ বছর আগেই বরানগরে কালীমন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিল জয় মিত্র পরিবার। কথিত আছে, তা দেখে পছন্দ হয়েছিল রানি রাসমণির। পরবর্তীকালে বরানগরের কালীবাড়ির অনুকরণে তৈরি করিয়েছিলেন দক্ষিণেশ্বরের মন্দির।

বাগবাজারের সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির বহু ইতিহাসের সাক্ষী। ফোর্ট উইলিয়াম আক্রমণের আগে এই মন্দিরের সামনেই দুদিন দাঁড়াতে হয়েছিল বাংলার শেষ স্বাধীন নবাবকে। যুদ্ধের আগে দেবীকে পুজো নিবেদন করেছিলেন সিরাজ-উদ-দৌল্লার হিন্দু সৈন্যরা। পরে এই সিদ্ধেশ্বরীকেই উত্তর কলকাতার গিন্নি নাম দিয়েছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ।

চোরবাগানের মিত্র বাড়ির কালী মিঠাই কালী নামে পরিচিত। তিনশো সত্তর বছরের পুরনো এই পুজোয় এখনও ছশো কেজি লাড্ডু তৈরি হয়। চোদ্দ ফুট লম্বা দেবীপ্রতিমা। তার সমান উচ্চতায় সাজানো হয় লাড্ডু। তুষ্ট হন মিঠাই কালী।

.