WB Panchayat Election 2023: এত রক্ত কেন? রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন বন্ধের হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের!
বিচারপতি অমৃতা সিনহার সাফ মন্তব্য,'যদি আইন-শৃঙ্খলার এই অবস্থা হয় যে প্রার্থীরা সময়মতো মনোনয়ন পেশ করতে পারছেন না। তাহলে তাদের অতিরিক্ত সময় তো দিতেই হবে।'
অর্ণবাংশু নিয়োগী: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন বন্ধের হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের! এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, 'যদি একটা পঞ্চায়েত নির্বাচনে এত রক্তপাত, হিংসা, সংঘর্ষ হয়, তাহলে এই নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এটা রাজ্যের পক্ষে লজ্জার।'
বিচারপতি অমৃতা সিনহার সাফ মন্তব্য,'যদি আইন-শৃঙ্খলার এই অবস্থা হয় যে প্রার্থীরা সময়মতো মনোনয়ন পেশ করতে পারছেন না। তাহলে তাদের অতিরিক্ত সময় তো দিতেই হবে।' যদিও আদালতে দাঁড়িয়ে রাজ্য সওয়াল করে যে,'মাত্র ৮টা ব্লকে অশান্তি হয়েছে। বাকি শান্তিপূর্ণ।' কিন্তু রাজ্যের কোনও যুক্তি শুনতে চায়নি আদালত। কড়া ভাষায় স্পষ্ট অবস্থান জানিয়েছেন বিচারপতি। এমনকি বিচারপতি অমৃতা সিনহা এও বলেন যে, '১৯৯৯ সালে কী হয়েছিল, ২০০৩ সালে কী হয়েছিল, সেসব কথা বলবেন না।' রাজ্যকে উদ্দেশ করে কড়া মন্তব্য বিচারপতির। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৮ খুন হয়ে গিয়েছে রাজ্যে।
প্রসঙ্গত, গতকাল পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নির্দেশ বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালনা করতে কেন্দ্রীয় মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। যাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কমিশন ও রাজ্য। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্যের আবেদন খারিজ করে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাই কলকাতা হাইকোর্টের মূল উদ্দেশ্য, রায়ে এমনটাই জানায় সুপ্রিমকোর্ট। শুধু স্পর্শকাতর জেলা নয়। পঞ্চায়েত ভোটে গোটা রাজ্যেই মোতায়েন করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এমনই নির্দেশ দেয় আদালত।
আর তারপরই জানা যায় যে প্রতি জেলার জন্য দুই-কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইতে চলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এছাড়াও উত্তেজনাপ্রবণ এবং অতি সংবেদনশীল এলাকার জন্য আরও বেশ কিছু কোম্পানি চাইতে পারে রাজীবা সিনহা। পাশাপাশি স্ট্রং রুমের জন্যও কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার পরিকল্পনা করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শেষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠায় কমিশন। প্রতিটি কোম্পানিতে থাকে ১০০ জওয়ান। তাদের মধ্যে পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজে লাগানো হয় ৮০ জনকে। এখন এই ২২ কোম্পানির মধ্যে ৬ জেলা বেছে নিয়ে সেখানে ২ কোম্পানি করে বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে।
ছটি জেলা বীরভূম, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ ও পূর্ব মেদিনীপুরে ২ কোম্পানি করে বাহিনী দেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর তেমনই। সব জেলার স্পর্শকাতর এলাকাতেই হবে রুটমার্চ। সূত্রের খবর, ৬ জেলায় ২ কোম্পানি করে বাহিনী আর ১৬ জেলায় এক কোম্পানি করে বাহিনী দেওয়া হবে। অতিরিক্ত বাহিনী আনা হবে ভিন রাজ্য থেকে। রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনে সমন্বয় সাধন করবেন আইজি বিএসএফ (কলকাতা) এস সি বুডাকোটি।